একনেক: ২ হাজার ৫৭০ কোটি টাকার ৫ প্রকল্প অনুমোদন

চেম্বার ডেস্ক:: ২০২০-২১ অর্থবছরের ৬ষ্ঠ একনেক সভায় ২ হাজার ৫৭০ কোটি ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ৫টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৩টি নতুন ও ২টি সংশোধিত প্রকল্প।

মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এসব প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে এবং রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষ থেকে মন্ত্রী, সচিব ও সংশ্লিষ্টরা একনেক সভায় অংশ নেন।

অনুমোদিত প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকার দেবে ১ হাজার ৪৮৫ কোটি ১৩ লাখ টাকা। এছাড়া, সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৮২ কোটি ৬০ লাখ ও বৈদেশিক উৎস থেকে প্রাপ্ত ১ হাজার ২ কোটি ৪২ লাখ টাকা যোগান দেয়া হবে।

টাকার অংকে সবচেয়ে বড় প্রকল্প ডিপিডিসি’র আওতাধীন এলাকায় উপকেন্দ্র নির্মাণ ও পুনর্বাসন, বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় ক্যাপাসিটর ব্যাংক স্থাপন এবং স্মার্ট গ্রিড ব্যবস্থার প্রবর্তন প্রকল্প। ডিপিডিসির অধীনের এই প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৪৫৪ কোটি ৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকার দেবে ৩৬৯ কোটি ২ লাখ, সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৮২ কোটি ৬০ লাখ আর বৈদেশিক উৎস হতে প্রকল্পটিতে ব্যয় করা হবে ১ হাজার ২ কোটি ৪২ লাখ টাকা। প্রকল্পটির মেয়াদ ধরা হয়েছে জুলাই ২০২০ থেকে জুন ২০২৩ সাল পর্যন্ত।

বাংলাদেশ হাইটেক কর্তৃপক্ষের অধীনে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন (১১টি) প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৯৮ কোটি ৯১ লাখ টাকা। ৫ বছর মেয়াদী এই প্রকল্পের পুরো টাকাই দেবে সরকার।

মহিষ গবেষণা ও উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৩ কোটি ১৭ লাখ টাকা। সরকারি অর্থায়নে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।

সংশোধিত প্রকল্পের মধ্যে কৃত্রিম প্রজনন কার্যক্রম সম্প্রসারণ ও ভ্রূণ স্থানান্তর প্রযুক্তি বাস্তবায়ন (তৃতীয় পর্যায়) প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২০৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা। সরকারি অর্থায়নে বাস্তবায়িত এই প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে ২ বছর।

তথ্য মন্ত্রণালয়ের গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে প্রচার কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প প্রকল্প ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৭ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। এই প্রকল্পটির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে এক বছর