করোনা: আরও মারাত্মক ভ্যারিয়েন্টের শঙ্কা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার

চেম্বার ডেস্ক:: ডেল্টার মতো আরও মারাত্মক ভ্যারিয়েন্ট আসার বিষয়ে সতর্ক করে এখনই করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

 

সংবাদ সম্মেলনে শুক্রবার ডব্লিউএইচওর নির্বাহী পরিচালক ড. মাইক রায়ান বলেন, ‘করোনাভাইরাসের গঠন ও কার্যক্ষমতায় প্রতিনিয়ত পরিবর্তনের প্রমাণ ডেল্টা। একই সঙ্গে এটি আরও বিপজ্জনক নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্ট সৃষ্টি হওয়ার আগেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিচ্ছে।’

জাতিসংঘের সংবাদভিত্তিক ওয়েবসাইট ইউএন নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, ডব্লিউএইচওর হিসাবে গত এক সপ্তাহে বিশ্বজুড়ে করোনা শনাক্তের সংখ্যা প্রায় ৪০ লাখ। এ ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী দুই সপ্তাহে করোনায় সংক্রমিতের সংখ্যা ২০ কোটি ছাড়িয়ে যাবে।

 

গণটিকাদান কার্যক্রম চলার মধ্যেই বিশ্বের সব অঞ্চলে করোনা শনাক্তের হার বেড়েছে। বিশেষ করে গত মাসে কিছু অঞ্চলে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৮০ শতাংশ ছাড়িয়েছে। একই সময়ে আফ্রিকা মহাদেশে করোনায় প্রাণহানি ৮০ শতাংশ বেড়েছে।

 

এ পর্যায়ে বৈশ্বিক সংক্রমণের সিংহভাগের জন্যই ডেল্টা দায়ী বলে জানিয়েছে ডব্লিউএইচও।  আমেরিকা, ইউরোপ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে পরিস্থিতি সবচেয়ে সংকটজনক।

 

মহামারির প্রকৃত পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ জানিয়ে ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক টেডরোস আধানম গেব্রিয়েসুস বলেন, ‘আমরা জানি যে করোনাবিষয়ক তথ্য অবমূল্যায়ন করা হয়েছে।’

 

ভাইরাসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণের আগ পর্যন্ত আরও নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্ট আসতে থাকবে বলেও সতর্ক করেন তিনি।

 

ডব্লিউএইচওর তথ্য অনুযায়ী, সারা বিশ্বে করোনার যত পরিবর্তিত রূপ শনাক্ত হয়েছে, সেসবের মধ্যে চারটি সবচেয়ে উদ্বেগজনক। এগুলো হলো আলফা, বেটা, গামা ও ডেল্টা।

 

এ পর্যন্ত ১৮২টি দেশে আলফা, ১৩১টি দেশে বেটা, ৮১টি দেশে গামা ও ১৩২টি দেশে ডেল্টা শনাক্ত হয়েছে।

 

২০২০ সালের শেষের দিকে ভারতে প্রথম শনাক্ত হওয়া ডেল্টা সবচেয়ে বিপজ্জনক ও সংক্রামক ভ্যারিয়েন্ট বলে জানিয়েছেন ডব্লিউএইচওর করোনাবিষয়ক কারিগরি প্রধান ড. মারিয়া ভ্যান।