যুবলীগ নেতা আব্দুল জব্বার জামাল মিয়া খুনের ঘটনায় থানায় মামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক: সিলেটের শাহপরান (রহ.) থানা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল জব্বার জামাল মিয়া খুনের ঘটনায় শাহপরান (রহ.) থানায় মামলা করা হয়েছে। শুক্রবার (৩১ মে) রাত ৮ ঘটিকার দিকে মামলা করেন নিহত জব্বারের পিতা মো: তারা মিয়া। মামলার আসামীরা হলেন মুরাদপুরের আমির আলীর পুত্র জব্বার আলী, তপোবন আ/এ এলাকার কালা মিয়ার পুত্র জুনেদ মিয়া, খাদিমনগর শাহপরান এলাকার মো: আতাউর রহমান চৌধুরীর পুত্র মো: জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, তেররতন এলাকার আছাদ উদ্দিনের পুত্র আলিম উদ্দিন ও মৃত ছায়াদ আলীর পুত্র
দেলওয়ার হোসেন, দাসপাড়ার ফজলুর রহমানের পুত্র আজাদুর রহমান, খাদিমনগর শাহপরান এলাকার আতাউর রহমান চৌধুরীর পুত্র আলমগীর আলম চৌধুরী, দাসপাড়ার বদরুল ইসলামের পুত্র খয়রুল ইসলাম, মুরাদপুর এলাকার ফয়জুল ইসলামের পুত্র ময়জুল ইসলাম, আমজাদ হোসেনের পুত্র হাসনাত হোসেন, আব্দুন নূরের পুত্র আলী নূর, মৃত ইনছান আলীর পুত্র দিলু আহমদ,দাসপাড়ার হোসেন আলীর পুত্র মনসুর আলী, দাসপাড়ার দীনুজ্জামানের পুত্র হাসানুজ্জামান,শাহপরান আ/এ এলাকার মৃত সুনাম উদ্দিনের পুত্র মনসুর উদ্দিন ইকবাল, শাহপরান আ/এ এলাকার মৃত ইজ্জাদ আলীর পুত্র ফজলুল হক,দাসপাড়ার মৃত মুজির উদ্দিনের পুত্র আব্দুল্লাহ আল আনসারী, উত্তর বালুচর এলাকার আরমান আলীর পুত্র আকরাম আলী, শিবগঞ্জ খরাদিপাড়ার আব্দুল বকতিয়ারের পুত্র আব্দুল হান্নান, নিপবন মনিপুরীপাড়ার নজমুল ইসলামের পুত্র ফখরুল ইসলাম, মুরাদপুর এলাকার মফিজুর রহমানের পুত্র আবিদুর রহমান,মুজেফর আলীর পুত্র আদনান খালেদ, আমির হোসেনের পুত্র কবির হোসেন, নিজাম আলমের পুত্র শাহরিয়ার আলম।
মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (৩০ মে) রাতে নিহত আব্দুল জব্বার জামাল মিয়া শাহপরান বাজার থেকে বাড়ী ফেরেন নাই। সারারাত বাড়ি না ফিরলে পরদিন পরিবারের লোকজন বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখোঁজি করেন। এক পর্যায়ে শাহপরান মাজার গেইটের পূর্ব প্রান্তে নালার মধ্যে আব্দুল জব্বারের মৃতদেহ পাওয়া যায়। এ সংবাদ পেয়ে কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ, জাহাঙ্গীর আলম, লুৎফুর রহমান,হেলাল উদ্দিন,রিপন আহমদ, জুনেদ আহমদ,খসরু মিয়াসহ অনেক লোকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে থানা পুলিশকে অবগত করলে শাহপরান (রহ.)থানার এস আই ছালেহ আহমদ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ময়না তদন্তের পর লাশ দাফন করা হয়।
এ ঘটনায় জব্বারের পিতা বাদী হয়ে বিএনপি,যুবদল ও ছাত্রদলের বিভিন্ন স্তরের ২৪ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলা নং- ৫২।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী নিহত আব্দুল জব্বার জামাল মিয়ার পিতা তারা মিয়া বলেন,আমার ছেলে আব্দুল জব্বার আওয়ামীলীগের একজন একনিষ্টকর্মী ছিলো। রাজনৈতিক মতবিরোধ থেকেই আমার ছেলেকে আসামীরা হত্যা করেছে। আমি এ হত্যার সুষ্ট বিচার চাই। শাহপরান (রহ.) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, আসামীদের গ্রেফতারে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।