সর্বশেষ

» পশু কোরবানি দিয়ে পশু-শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে: সুলেমান চৌধুরী

প্রকাশিত: ২১. জুলাই. ২০২১ | বুধবার

সুলেমান চৌধুরী: 

ইসলাম শান্তির সাম্যের ও ত্যাগের ধর্ম।ঈদুল অাজহা সেই পবিত্র ত্যাগের কথাই অামাদের মনে করিয়ে দেয়। হযরত ইব্রাহিম (অা) স্বপ্নে দেখেছিলেন তাঁর সবচেয়ে অাপন জন কে কোরবানি দিচ্ছেন। তা ছিলো তাঁর প্রিয় পুত্র হজরত ইসমাইল। হজরত ইব্রাহিম (অা) এতই অাল্লাহ প্রেমিক ছিলেন যে তিনি ঠিক পরদিনই অাল্লাহ র অাদেশ পালনে ছেলে কে কোরবানি দিতে উন্মুখ হলেন।টিক তখনই সেখানে অাল্লাহ র কুদরতে একটা দুম্বা এসে যায় এবং তিনি অাল্লাহর প্রেমে জয়ী হয়েছিলেন।সেই ত্যাগের পরিক্ষা থেকেই শুরু হয় কোরবানি দেয়ার প্রথা। তাই কোরবানি লোক দেখানো নয়, সেটা হলো পরম ও চরম ত্যাগের বহিঃপ্রকাশ। তাই পশু কোরবানি দিয়ে পশু-শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। কোরবানির শিক্ষা হলো ত্যাগের শিক্ষা।অামাদের জাতীয় কবি কাজি নজরুল ইসলামের ভাযায়, “বনের পশু রে ছেড়ে দিয়ে মনের পশু রে কর জবাই বাঁচে পশুরাও বাঁচে সবাই।”
যুগে যুগে মানুষের উপর মানুষরূপী অমানুষদের যে অত্যাচার-অবিচার নিষ্পেষণ চলছে তার বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার থাকতে হবে। বিশেষ ভাবে তরুণ প্রজন্মকে অাত্মোৎসর্গের এই মহান শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে।
আজকের কোরবানির এই বড় শিক্ষা হচ্ছে বনের পশুকে কোরবানি দিয়ে আপন মনকে শুদ্ধ করেএবং আত্মমুক্তির চেতনাকে জাগিয়ে তোলা। স্বজন মানব-হত্যা চিরতরে বন্ধ করা, আর এটাই হচ্ছে ইসলামের আত্মোৎসর্গের অমোঘ শিক্ষা। ত্যাগের মহান শিক্ষা যদি আমাদের সকলে গ্রহণ করতে পারি এবং আমরা যদি হিংসা পরিহার করে ত্যাগের মহান এই মানসিকতা শিখি ইসলামী আদর্শে। তাহলে আমাদের সকলের জীবন হবে সুখী ও সমৃদ্ধ এবং মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসা হবে সংঘাত-মুক্ত ও নিঃস্বার্থ।
ঈদ মোবারক
সুলেমান চৌধুরী
প্রধান
সার্ক ইন্টারন্যাশনাল স্কুল বাংলাদেশ, শাহপরান শাখা।।

image_print
           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

October 2024
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031