তারা মিয়া ছিলেন একজন ধর্মপ্রাণ মানুষ: জকিগঞ্জে শোকসভায় বক্তারা
জকিগঞ্জ প্রতিনিধি:: জকিগঞ্জ উপজেলার চৌধুরী বাজার প্রবাসী সমাজ কল্যাণ পরিষদের শোক সভায় বক্তারা বলেন, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকুরীজীবি মরহুম আবুল হোসাইন (তারা মিয়া) তাপাদার ছিলেন একজন প্রকৃত ধর্মপ্রাণ মানুষ। সর্বদা ধর্মকর্ম নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন। চলাফেরা ও উঠাবসায় ধর্মীয় অনুশীলন সর্বদা মেনে চলতেন। কিন্তু সততা ও ন্যায় নীতির প্রশ্নে ছিলেন আপোষহীন। সৎ সাহসিকতায় ছিলেন একজন বীরপুরুষ। তবে মানুষের প্রতি ছিলেন অত্যন্ত দয়াবান ও ক্ষমাশীল। কাউকে রাগ করে কিছু বললে পরক্ষণে ভুলে যেতেন। সর্বোপরি তিনি একজন সত্যিকারের ভালো মানুষ ছিলেন।
শুক্রবার (২১ আগস্ট) বিকাল ৫ ঘটিকার সময় চৌধুরী বাজার প্রবাসী সমাজ কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে পরিষদ কার্যালয়ে পরিষদের কার্যক্রম বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সাংবাদিক রহমত আলী হেলালীর পিতা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকুরীজীবি প্রয়াত আবুল হোসাইন (তারা মিয়া) তাপাদারের স্মরণে এক শোকসভা বক্তারা উপরোক্ত কথা বলেন।
সাবেক ইউপি সদস্য রফিক আহমদের সভাপতিত্বে ও যুবনেতা আহাদুর রহমান মুন্নার পরিচালনায় শোকসভার শুরুতে পবিত্র ক্বোরআন তেলাওয়াত করেন হাফিজ আমিনুল কারীম।
শোকসভায় বক্তব্য রাখেন চৌধুরী বাজার প্রবাসী সমাজ কল্যাণ পরিষদের সহ সভাপতি মাও: কবির আহমদ, পরিষদের কার্যক্রম বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য হাসান আহমদ, আহাদুর রহমান মুন্না, ব্যবসায়ী মাওলানা আব্দুল বারী, সংগঠক আব্দুল হামিদ জালাল, এলাকার বিশিষ্ট মুরব্বী আব্দুল কাইয়ুম, মরহুমের বড় ছেলে মধুদত্ত বায়তুল আমান জামে মসজিদের ইমাম হাফিজ মাওলানা ইউসুফ আলী, মেজো ছেলে কামালপুর (খ) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মোঃ ইউনুছ আলী, ছোট ছেলে জকিগঞ্জ প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক রহমত আলী হেলালী ও ভাতিজা হাফিজ জুবায়ের আহমদ প্রমূখ।
শোকসভা শেষ দোয়া পরিচালনা করেন কামালপুর ইবতেদায়ী হাফিজিয়া মাদ্রাসার হিফজ বিভাগের প্রধান হাফিজ আব্দুল গণী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চৌধুরী বাজার জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা ওয়ারিছ উদ্দিন, পাঁচপীরের মোকাম হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা আব্দুস শাকুর, পরিষদের কার্যক্রম বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য ময়নুল হক লালা, হাফিজ ফারুক আহমদ, জামেয়া মোহাম্মদীয়া হাড়িকান্দির সাবেক শিক্ষক মাওলানা সালেহ আহমদ, মাওলানা আব্দুস সুবহান, মদীনাতুল উলুম জামুরাইল মাদ্রাসার সাবেক শিক্ষক মাওলান জিহাদ উদ্দিন, এলাকার বিশিষ্ট মুরব্বী শফিকুর রহমান, আব্দুস ছালাম (সলু), সুরুজ আলী, আব্দুল্লাহ মিয়া, আব্দুল মতিন, মায়রুফ আহমদ, মরহুমের ভাই হাজী আব্দুল মান্নান, ভাতিজা হাফিজ মোঃ আলী আকবর, নাতি হাফিজ মোঃ ফজলুল করীম, হাফিজ আমিনুল করীম, মাহবুবুল করীম ও নাজমুস সা’দাত প্রমৃখ।
শোকসভা ও দোয়া মাহফিল শেষে উপস্থিত সকলের মধ্যে শিরণী বিতরণ করা হয়।