চার ধাপে দেশে এলো মডার্না ও সিনোফার্মের ৪৫ লাখ টিকা

চেম্বার ডেস্ক:: মাত্র ১২ ঘন্টারও কম সময়ে চার ধাপে দেশে এলো ৪৫ লাখ ডোজ করোনার টিকা। এর মধ্যে কোভ্যাক্সের আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের উপহারের মর্ডানার ২৫ লাখ আর বাকি ২০ লাখ চীনের কাছ থেকে কেনা সিনোফার্মের টিকা।

 

এর মধ্যে আজ সকাল ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে যুক্তরাষ্ট্রের মর্ডানার টিকা পরিবহনকারী ফ্লাইট ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

শনিবার সকালে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ২৫ লাখ ডোজের মধ্যে প্রায় অর্ধেক ১২ লাখ ৬৭ হাজার ২শ টিকা এসে পৌঁছায়। এর আগে বাকি টিকা এসে পৌঁছায় আরেকটি ফ্লাইটে।

 

মহাখালীর ইপিআর স্টোরে সংরক্ষণ করা হবে এসব টিকা। সব মিলিয়ে দুটি ফ্লাইটে মোট ২৫ লাখ ভ্যাকসিন এলো মডার্নার। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার কো-ভ্যাক্স জোট থেকে বাংলাদেশ পেল এ টিকা।

 

এ ছাড়া শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে একটি ফ্লাইটে সরকারি অর্থে চীনের কাছ থেকে কেনা সিনোফার্মের ১০ লাখ ডোজ এবং শনিবার ভোর সাড়ে ৫টায় অপর একটি ফ্লাইটে চীনের সিনোফার্মের আরও ১০ লাখ করোনা টিকা দেশে এসে পৌঁছায়।

 

রাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে টিকা গ্রহণ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ডিসেম্বরের মধ্যেই সব মিলিয়ে ১০ কোটি ডোজ টিকা আনার বিষয়ে কাজ করছেন তারা।

 

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে টিকা গ্রহণ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।  এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলার।

 

পরে বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে টিকার বিষয়ে কথা বলেন দুই মন্ত্রী ও যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনার টিকা নিয়ে সংকট কাটতে শুরু করেছে। ডিসেম্বরের মধ্যেই ১০ কোটি টিকা আনতে কাজ করছে সরকার।

 

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, আপনারা জানেন যে, আমাদের ভ্যাকসিন কার্যক্রম অল্প অল্প করে চলছিলো। এটা আরও বেগবান হবে এবং আমরা অল্পদিনের মধ্যেই আমাদের ভ্যাক্সিন কার্যক্রম আবারও শুরু করতে পারবো। ভারত থেকে আমরা ঈঙ্গিত পেয়েছি আগস্ট মাস থেকে তারা আমাদের ভ্যাকসিন দেয়া শুরু করবে। ডিসেম্বরের মধ্যে প্রায় ১০ কোটি ভ্যাকসিন বাংলাদেশে আসবে বলে আমরা আশারাখি।

 

টিকা পেতে বাংলাদেশ উৎপাদনকারী সব দেশের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন বলেন, আমরা আমেরিকা ছাড়াও অন্যান্ন দেশের সোর্স খুঁজেছি। আশা করছি আমরা এরমধ্যে আরও ভ্যাকসিন পাবো। আগামীতে ভ্যাকসিন নিয়ে কোন সমস্যা থাকবে না।