সর্বশেষ

» কদমতলীতে ৩ জনকে হত্যা : সবাইকে হত্যার পরিকল্পনা ছিল মেহজাবিনের

প্রকাশিত: ১৯. জুন. ২০২১ | শনিবার

চেম্বার ডেস্ক:: রাজধানীর কদমতলীতে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে মা-বাবা ও বোনকে হত্যার ঘটনায় বড় মেয়ে মেহজাবিনকে আটক করেছে পুলিশ।

 

আজ শনিবার (১৯ জুন) দুপুরে তাকে আটকের পর থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

এর আগে সকালে মুরাদপুর এলাকার ২৮, লালমিয়া সরকার রোডের ছয় তলা বাড়ির দ্বিতীয় তলা থেকে মেহজাবিনের মা মৌসুমী ইসলাম (৪০) বাবা মাসুদ রানা (৫০) ও বোন জান্নাতুলের (২০) লাশ উদ্ধার করা হয়।

 

আর আহত অবস্থায় মেহজাবিনের স্বামী শফিকুল ইসলাম ও তার আগের ঘরের মেয়ে মারজান তাবাসসুম তৃপ্তিয়াকে (৬) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

 

মেহজাবিনের চাচাতো বোন শিলা এই প্রতিবেদককে বলেন, মেহজাবিন তার পরিবারের সবাইকে শেষ করে দিতে চেয়েছিল। সে তার আগের ঘরের স্বামীকেও খুন করেছিল। সেই মামলায় মেহজাবিনসহ তার নিহত বাবা-মা ও বোনের জেল হয়েছিল। পাঁচ বছর জেল খেটে তারা জামিনে ছাড়া পায়।

 

তিনি আরও বলেন, গত দুদিন আগে স্বামী সন্তানকে নিয়ে মায়ের বাড়িতে বেড়াতে আসে মেহজাবিন। এসেই তার ছোট বোনের জান্নাতুলের সঙ্গে তার স্বামীর পরকীয়া রয়েছে বলে বাবা-মাকে অভিযোগ করে। এ নিয়ে অনেক কথা কাটাকাটি হয়। তার জেরেই হয়তো সে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।

 

এছাড়া প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, জায়গা সম্পত্তি নিয়েও পরিবারের সঙ্গে বিরোধ ছিল মেহজাবিনের। সম্পত্তি লিখে দেয়ার জন্য বাবা-মাকে অনেক চাপ দিত। এ নিয়ে এর আগে বৈঠক শালিস হয়েছে।

 

পুলিশ জানিয়েছে, মেহজাবিন তার বাবা-মা ও বোনকে হত্যা করার পর আজ সকাল ৮টায় ৯৯৯-এ কল করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘আপনার দ্রুত না আসলে আমার স্বামী ও মেয়েকে খুন করে ফেলব।’

 

পরে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ নিহত তিনজনের লাশ উদ্ধার করে। আর মেহজাবিনের স্বামী ও সন্তানকে অচেতন অবস্থায় ঢামেকে পাঠায়।

 

পুলিশের ধারণা, শুক্রবার রাতে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে তিনজনকে গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।

 

ওসি জামাল উদ্দিন বলেন, ‘আমরা মরদেহগুলো হাত পা বাঁধা অবস্থায় পেয়েছি। গতকালকে রাতে তাদের হত্যা করা হয়েছে। হত্যা করেছে তাদেরই আরেক মেয়ে। সেই মেয়েকে আটক করা হয়েছে।’

এদিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শফিকুল বলেন, শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে এসেছিলাম। গতকাল রাতে খাবার ও চা খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ি। আমার মেয়েও অচেতন হয়ে যায়।

ওয়ারী জোনের ডিসি ইফতেখারুল ইসলাম বলেন, মেহজাবিন হত্যা করে ঘটনাস্থল থেকে ফোন দেয়। পুলিশ দ্রুত না গেলে তার স্বামী ও সন্তানকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় তাকে আটক করা হয়েছে।

image_print
           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

October 2024
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031