বাসরঘর থেকে গ্রেফতার হত্যা মামলার প্রধান আসামি
চেম্বার ডেস্ক:: সাভারের আশুলিয়ায় শিশু রাজা মিয়া অপহরণের পর হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি আরিফুল ইসলামকে (৩২) পাবনা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিয়ের পর বাসরঘর থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
রোববার ভোরে পাবনার সুজানগর সদর থানার তারাবাড়ি গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতার আরিফুল পাবনার সুজানগর থানার ভাতশালা গ্রামের তফিজ উদ্দিনের ছেলে।
গত ২৮ মার্চ আশুলিয়ায় পরিকল্পনা করে রাজা মিয়াকে হ্ত্যা করে আরিফ ও লিজা বেগম। ওই দিন সন্ধ্যায় লিজা আক্তারকে (২২) গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ জানান, আশুলিয়ায় শিশু রাজা মিয়াকে হত্যার পর আরিফুল ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন।
আরিফুল ইসলাম পাবনায় বিয়ের পিঁড়িতে বসছিলেন।
শনিবার রাত ছিল তার বাসররাত। আশুলিয়া থানা পুলিশ আরিফের এলাকায় সোর্স লাগিয়ে বাসরঘর থেকেই তাকে গ্রেফতার করেছে।
এর আগে গত ২৮ মার্চ সন্ধ্যায় রাজা মিয়াকে হত্যা করার সময় স্ত্রী পরিচয়ে থাকা লিজা আক্তারকে (২২) গ্রেফতার করে পুলিশ। তারা মার্চের প্রথম সপ্তাহে এই বাসার
একটি কক্ষে স্বামী -স্ত্রী পরিচয় ভাড়া নিয়ে পার্শ্ববর্তী পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।
স্থানীয়রা জানায়, ২৮ মার্চ সন্ধ্যায় চা খাওয়ার কথা বলে আরিফুল রাজাকে বাসায় ডেকে নিয়ে যায়। পরে রাজাকে হাত পা বেঁধে মারধর করে বস্তায় ভরে বেলকনিতে রেখে বাসা থেকে বের হয়ে যায় তারা। পরে দূরে গিয়ে রাজার বাবাকে মোবাইলে কল করে ৫০ লাখ টাকা নিয়ে উত্তরায় যেতে বলেন।
এ সময় রাজার বাবা আরিফের কণ্ঠ বুঝতে পেরে এলাকার লোকজন নিয়ে আরিফুলের স্ত্রীকে আটকে রেখে আশুলিয়া থানায় খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে এবং আরিফের কথিত স্ত্রী লিজাকে গ্রেফতার করে।
এর পর থেকে রাজা হত্যার প্রধান আসামি আরিফ পলাতক ছিল। দুই মাস পর রোববার ভোরে আরিফকে নিজ বাড়িতে বাসরঘর থেকে গ্রেফতার করা হয়।
আশুলিয়া থানার এসআই আল-আমিন জানান, দ্রুত স্থান পরিবর্তনের কারণে আরিফুলকে গ্রেফতারে বেগ পেতে হয়েছে। সে কখনো নারায়ণগঞ্জ, কখনো গাজীপুরের মাওনাসহ বিভিন্ন স্থান বদল করেছিল। পরে গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করলে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
তাকে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত আছে কি-না তা আরিফকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যাবে।