কানাইঘাটের বড়চতুল ইউপি চেয়ারম্যান মাও.আবুল হুসাইন চতুলী একজন সফল জনপ্রতিনিধি
চেম্বার ডেস্ক:: যে মানুষের অন্তর জুড়ে কেবল মানুষের ভালোবাসা বিদ্যমান, যার শব্দ মালায় ধ্বনিত হয় দুঃখি মানুষের আর্তনাদ তিনিই মানবদরদী প্রকৃত মানুষ। এমনি একজন সফল জনপ্রতিনিধি, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, সমাজসেবক, শিক্ষানুরাগী, মানবতাবাদী জনপ্রিয় মানুষ জমিয়তে উলামা বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, কানাইঘাট উপজেলার ৫নং বড় চতুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হুসাইন চতুলী।
যিনি নিজ জীবনের স্বর্ণালী দিন গুলো নি:স্বার্থভাবে অতিবাহিত করেছেন মানুষের জন্য। তিনি তার জীবনের দীর্ঘসময় ৫নং বড় চতুল ইউনিয়নবাসীর একজন সেবক ও সফল জনপ্রতিনিধি হিসেবে মানুষের সেবায় অতিবাহিত করছেন। বাকি জীবনটাও মানুষের কল্যাণে কাজ করে যেতে চান এই মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবে পরিচিতি লাভ করা চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হুসাইন চতুলী। ছাত্র জীবন থেকেই তিনি ছাত্র জমিয়তের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। সেই সূত্রেই মানুষের কাছে থেকে মানুষের সেবা করাকেই তার জীবনের মূল কাজে পরিণত করেছেন। দুঃস্থ অসহায় মানুষের কাছে থেকে অনুভব করেন তিনি তাদের কষ্টের আর্তি। জনকল্যাণ মূলক কাজের ভেতর তিনি ভুলে যান নিজের ব্যাক্তি জীবনের কথা। নানা দুর্যোগের সময় মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে সাহায্য করেন। সৃষ্টিশীল যে কোন কাজকে জীবনের অন্যতম ব্রত মনে করেন তিনি। তিনি মনে করেন তার ইউনিয়নের জনগণই তার পরিবারের মানুষ। এই করোনা মহামারীর সময় যেখানে অনেক জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে, পরিবারের আপন মানুষ থেকে শুরু করে অনেক ডাক্তার, অনেক রাজনীতিবিদরা মানুষের পাশে না থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখতে চেষ্টায় ছিলো ঠিক সেইখানে মাওলানা আবুল হুসাইন চতুলী মানুষের পাশে থেকে তাদের সুখ দুঃখের সাথী হয়েছেন দিনরাত না ভেবে। তিনি সরকারি বরাদ্দের পাশাপাশি বিভিন্ন দাতা সংস্হার অর্থায়নে রেকর্ড পরিমান উপহার সামগ্রী বিতরণ করেছেন তার এলাকায়। বলা হচ্ছে কানাইঘাট উপজেলার ৫নং বড় চতুল ইউনিয়নের জনসাধারণই সবচেয়ে বেশী সাহায্য সহযোগিতা পেয়েছে জনপ্রতিনিধির কাছ থেকে।
বড় চতুল ইউনিয়নের স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দির, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, শিল্প, সাহিত্য, সাংস্কৃতি, ক্রীড়া অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নয়ন তাঁরই প্রচেষ্ঠার ফল। তাঁর হৃদয় জুড়ে শুধুই ৫ নং বড় চতুল ইউনিয়নের সাধারণ জনগন। তাই তো বড় চতুল ইউনিয়নবাসী আজ গর্বিত। এ জীবনের সকল সফলতার মুলে রয়েছে তাঁর বুদ্ধিমত্তা, ধের্য্যর সাথে এগিয়ে চলা, সিদ্ধান্তে অবিচলতা, প্রতিকূলতা মোকাবেলা করার অতুলনীয় শক্তি ও সাহস, জনগণের সঠিক মূল্যায়নের ক্ষমতা, অসীম সাহসীকতা, মানবিকতা, ও আত্মপ্রত্যয়ের মাধ্যমে দায়িত্ব পালন করছেন। অসম্ভব কে সম্ভব করেছেন আল্লাহ পাকের অপার কৃপায় বিভিন্ন উন্নয়ন অবকাঠামো বাস্তবায়নের মাধ্যমে। আহলে হক্ব উলামায়ে ইসলামের আদর্শে উজ্জীবিত জমিয়তে উলামার নিবেদিত প্রাণ কর্মী হিসেবে তিনি একজন সৃজনশীল কর্মীবান্ধব দক্ষ সংগঠক। কানাইঘাটের ৫নং বড় চতুল ইউনিয়নে আহলে হক্ব উলামায়ে ইসলামের ভাবাদর্শের সংগঠগুলোর মধ্যে প্রাণ সঞ্চার করে সংগঠনের ঐক্য, শৃঙ্খলা ও কর্মচাঞ্চাল্য ফিরিয়ে আনেন তিনি। কর্মীর প্রতি তাঁর আন্তরিক নির্ভেজাল ভালোবাসাপূর্ণ সম্পর্কের ক্ষেত্রে এক বিরল দৃষ্টান্ত স্হাপন করেছেন তিনি। এ জনপ্রতিনিধি ইতিমধ্যে তাঁর নির্বাচনীএলাকার মানুষের কাছে একজন পরিক্ষিত, নিঃস্বর্থবান, ত্যাগী, কর্মপরায়ণ, স্পষ্টবাদী, ব্যাক্তিগত জীবনের একজন সাহসী মানুষ হিসেবে পরিচিত ও সকলের কাছে সমাদৃত হয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র, শোষণ মুক্ত স্বনির্ভর বাংলাদেশ বিনির্মাণে জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক তিনি সরকারি বরাদ্দের পাশাপাশি তার প্রত্যক্ষ পরোক্ষ অর্থায়নে তার এলাকায় করেছেন অসংখ্য উন্নয়ন কর্মকাণ্ড।
ঈদুল ফিতরে ঈদ উপহার বিতরন ও নগদ টাকা বিতরন করেন। প্রতিবার ঈদুল আজহাতে অসহায় পরিবারের মাঝে তেল ও মাংস বিতরন করেন। বন্যায় এলাকায় পানি উঠলে ক্ষতি গ্রস্থদের খাবার বিতরনসহ গৃহের ক্ষতিগ্রহস্হদের মাঝে নগদ অর্থ বিতরন ও নতুন করে গৃহ নির্মানের মাধ্যমে পূনর্বাসনের ব্যাবস্হা গ্রহন করেছেন অসংখ্য অসহায় মানুষের। জাতীয় দিবসগুলো চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হুসাইন চতুলী তাঁর ইউনিয়নের জনগণকে নিয়ে দায়িত্বের সাথে পালন করে থাকেন। প্রতি বছর বিজয় দিবসে এলাকার সর্বস্তরের মানুষকে সাথে নিয়ে বিজয় রেলির ম্যাধমে আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠেন। নিউ ইয়ার ১লা জানুয়ারিতে এলাকার শিশুদের নিয়ে বই উৎসব অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন তার ইউনিয়নে। এছাড়াও মাওলানা আবুল হুসাইন চতুলী চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিবসগুলো যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয় এই ইউনিয়নে। এই ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন এলাকা সি সি ক্যামেরা দিয়ে নিয়ন্ত্রিত। তাই এই এলাকার আপামর জনসাধারণ তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে এখন অনেকটা সস্তিতে আছেন। তার প্রচেষ্টায় বড় চতুল হাইস্কুলের চার তলা বিশিষ্ট নতুন বিল্ডিং স্হাপন, ছাত্রীদের আলাদা সেইফরুম নির্মাণ সহ শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত করেছেন যা অত্র এলাকার শিক্ষা বিস্তারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।যেহেতু কৃষিপ্রধান এলাকা এবং হাওরের নিকটতম কৃষিজমি বন্যায় প্লাবিত হওয়া থেকে বাঁচাতে হাওরাঞ্চলে বেড়িবাঁধ কর্মসূচীর মতো মেগা প্রজেক্ট প্রায় সাত কোটি টাকার প্রজেক্ট একজন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হয়েও অক্লান্ত পরিশ্রমে সেটা বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হন।
যার ফলে ইউনিয়ন টির সাতটি ওয়ার্ডের কৃষি জমি বন্যায় প্লাবিত হওয়া থেকে বাঁচানো সম্ভব হচ্ছে। জনগণকে বিশুদ্ধ পানি পান করানোর জন্যে ২ কোটি টাকা ব্যায়ে টেস্টিং টিউবওয়েল প্রকল্প শুরু করেন জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আওতাধীন স্হানীয় চতুল ঈদগাহ বাজারে। চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হুসাইন চতুলী তাঁর ইউনিয়নে উন্নয়নমূলক কার্যক্রম প্রসারিত করতে গিয়ে এতটা জনপ্রিয়তা পেয়েছেন যে তার ইউনিয়নের জনগণ এবং তার জনকল্যাণমুখী কাজগুলোই তাকে মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবে পরিচিতি দিয়েছে।তার অতিরিক্ত বরাদ্দের অর্থায়নে গরীব মেয়েদের যৌতুক বিহীন গণবিয়ে কার্যক্রম, অসহায় শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দাতা সংস্থার অর্থায়নে পড়ার সুযোগ করে দেওয়া, ঘর সংস্কার থেকে শুরু করে অসহায় দের মাঝে সেলাই মেশিন বন্টন, বিকলাঙ্গ দের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ, নৃগোষ্ঠীকে উন্নত জাতের গাভী প্রদান, তথা অসহায়দের জন্য তিনি একজন অভিবাবকের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তার এলাকার কোন মানুষ তার কাছে গিয়ে কিছু চাওয়ার পর খালি হাতে ফিরতে হয়েছে এমন নজির নেই। তিনি তার সাধ্যমতো যতটুকু পেরেছেন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন সবসময়।
চলতি বছরে ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে তা স্থগিত করা হয়। যার কারণে সরকার এখন বর্তমান চেয়াম্যান বৃন্দের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এদিকে তাঁর ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ এখন থেকে তাদের প্রিয় জনপ্রতিনিধিকে তাদের কাছ থেকে এক দিনের জন্যও হারাতে চাচ্ছেন না। যদিও চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হুসাইন চতুলী ইতিমধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন জনপ্রতিনিধি হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হতে না পারলেও অত্র ইউনিয়নের মানুষের জন্য কখনো তার সেবা কার্যক্রম একমুহূর্তের জন্যও থেমে থাকবে না। ঘোষনায় তিনি আরও বলেছেন, ‘আমি এই ইউনিয়নের মাটির কাছে ঋণি, আমি এই ইউনিয়নের মানুষের কাছে ঋণি-তাই আমি অত্র ইউনিয়নের মানুষের ধারে ধারে ঘুরি, কোন ব্যক্তিগত চাওয়া পাওয়া নেই আমার, শুধু এই ইউনিয়নের মানুষের মূখে হাসি ফুটাতে পারলেই নিজের সার্থকতা মনে করি। তাই আমি নিজেকে এই ইউনিয়নের মানুষের সেবায় উৎসর্গ করলাম। জনপ্রতিনিধি থাকি আর নাই থাকি অত্র ইউনিয়নের মানুষের জন্য আমার সেবা কার্যক্রম কখনও থেমে থাকবে না ইনশাআল্লাহ।’
বড় চতুল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সফল চেয়ারম্যান মরহুম আনিসুল হক এর ছোট ভাই বাবুল মিয়ার সাথে কথা হলে চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হুসাইন চতুলী সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হুসাইন চতুলী একজন সফল ও আদর্শবান জনপ্রতিনিধি হিসেবে নিজেকে ইতিমধ্যে প্রমাণিত করেছেন। আমাদের এই ৫নং বড় চতুল ইউনিয়নে ওনার প্রতিদ্বন্ধী এখন তিনি নিজেই। তিনি যে পরিমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এই মেয়াদে করেছেন, সেই তুলনায় বিগত কোন জনপ্রতিনিধি তার ধারে কাছেও যেতে পারেন নাই। শুধু তাই নয় তিনি এলাকায় মাদক নির্মূলে দৃশ্যমান সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন। শিক্ষা বিস্তারে নিয়েছেন বিভিন্ন কার্যকরী পদক্ষেপ। রাস্তা-ঘাট অবকাঠামো উন্নয়ন, নালা-নর্দমা সম্প্রসারণ করে জলবদ্ধতা নিরসনে ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করেছেন। সি সি ক্যামেরা স্হাপন করে এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছেন। করোনাকালে রেকর্ড পরিমান উপহার সামগ্রী বিতরণ করে মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবে আখ্যায়িত হয়েছেন।