দেশের বিভিন্ন এলাকায় আজ উদ্‌যাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর

চেম্বার ডেস্ক:: মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আজ বৃহস্পতিবার (১৩ মে) চট্টগ্রাম, মৌলভীবাজার ও জামালপুরের অনেক এলাকায় পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপিত হচ্ছে।

 

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার দুটি গ্রামসহ সাতকানিয়া, চন্দনাইশ, বাঁশখালী, পটিয়া, বোয়ালখালী, হাটহাজারী, রাউজান ও ফটিকছড়ির অর্ধশতাধিক গ্রামে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপিত হচ্ছে। সাতকানিয়া উপজেলার মির্জাখীল দরবার শরিফের অনুসারীরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ পালন করেন।

আনোয়ারা উপজেলার বরুমচড়া ও তৈলারদ্বীপ গ্রামে সকাল সাড়ে আটটায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। মির্জাখীল দরবার শরিফ মাঠে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া পার্বত্য জেলা বান্দরবানের লামা, আলীকদম, নাইক্ষ্যাংছড়ি, কক্সবাজারের চকরিয়া, টেকনাফ, মহেশখালী ও কুতুবদিয়ার কয়েকটি গ্রামে থাকা মির্জারখীল দরবার শরিফের ভক্তরাও আজ ঈদ উদ্‌যাপন করছেন।

 

মির্জাখীল দরবার শরিফের মুখপাত্র মো. মছউদুর রহমান বলেন, করোনার কারণে এবারও দরবার শরিফে বড় ঈদ জামাত পরিহার করা হয়েছে। অনুসারীরা নিজ নিজ এলাকায় ছোট পরিসরে ঈদের জামাত করেছেন।

 

মৌলভীবাজারের শতাধিক পরিবার আজ ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন। সকাল সাতটায় মৌলভীবাজার শহরের সার্কিট হাউস এলাকার আহমেদ শাবিস্তা নামের বাসার ছাদে ঈদের এই জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে ইমামতি করেন আবদুল মাওফিক চৌধুরী। নামাজ শেষে দেশ-জাতিসহ ফিলিস্তিনের মুসলমানের জন্য মোনাজাত করা হয়। নামাজে অংশ নেওয়া মাজেদুল হক বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে নামাজ আদায় করছেন।

 

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে আজ সকাল আটটার দিকে দক্ষিণ বলারদিয়ার জামে মসজিদ ঈদগাহ মাঠে ১৩টি গ্রামের মানুষ ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেন। দক্ষিণ বলারদিয়ার জামে মসজিদ মাঠে সকাল আটটায় মাওলানা আজিম উদ্দিন ঈদুল ফিতরের নামাজে ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

 

বলারদিয়ার গ্রামের রহমান মিঞা (৬১) বলেন, ‘১৬ বছর ধরে আমরা ১৩ গ্রামের মুসল্লিরা একসঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করে আসছি।’

 

দাশেরবাড়ি গ্রামের রকিব উদ্দিন (৬৫) বলেন, ‘মধ্য প্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে আমরা ১৬ বছর ধরে ঈদের নামাজ আদায় করি।’