মিতু খুন : ২৭ সেকেন্ডের অডিও কলেই ঘুরে যায় মামলার গতি প্রকৃতি
চেম্বার ডেস্ক::৫ বছর আগে চট্টগ্রামে মাহমুদা আক্তার মিতুকে প্রকাশ্য দিবালোকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। সেসময় তার স্বামী সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের কান্না দেশবাসীর আজও মনে আছে।
কিন্তু সেই কান্নার আড়ালে যে বাবুলের বিভৎসরুপ ছিল সেটি ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই তদন্তে ধীরে ধীরে খোলাসা হচ্ছে। তদন্তকারী কর্মকর্তারা বলছেন মাত্র ২৭ সেকেন্ডের অডিও কলেই ঘুরে যায় মামলার গতি প্রকৃতি।
পিবিআই সূত্র বলছে, ঘটনার দিন সকাল ৭টা ৩৭ মিনিটে মুছা নামের এক ব্যক্তিকে মোবাইলে কল করে সাবেক এসপি বাবুল আক্তার। তখন সালাম দিয়ে মুছা ফোনটি রিসিভ করেন। এরপর বাবুল আক্তার বলেন, ‘তুই কোপালি ক্যান?’ এরপর ৩ থেকে ৪ সেকেন্ড থামেন বাবুল আক্তার। এরপর আবার বলেন, ‘বল তুই কোপালি ক্যান? তোরে কোপাতে কইছি?’ এরপরই ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়।
চলতি সপ্তাহে মেয়েকে হত্যার অভিযোগ এনে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় বাবা মোশাররফ হোসেন সাবেক এসপি বাবুল আক্তারসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় পারিবারিক কলহের কারণে স্ত্রী মিতুকে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়। সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার পিবিআইয়ের হাতে ৫ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন।
২০১৬ সালের ৫ জুন ভোরে চট্টগ্রাম শহরের জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয় মাহমুদা খানম ওরফে মিতুকে। ওই ঘটনায় বাদী হয়ে বাবুল আক্তার পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন। তাতে তিনি বলেন, তার জঙ্গিবিরোধী কার্যক্রমের জন্য স্ত্রী আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু হয়ে থাকতে পারেন। তবে সপ্তাহ দুয়েকের মাথায় মাহমুদা হত্যার তদন্ত নতুন মোড় নেয়। অব্যাহতভাবে মাহমুদার মা–বাবা এই হত্যার জন্য বাবুল আক্তারকে দায়ী করে আসছেন।
পিবিআই আজ জানিয়েছে, মিতু হত্যায় বাবুল জড়িত হওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এরপরই আগের মামলার চার্জশিট ও নতুন করে মামলা দায়ের হলো।