বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশ গমণে আইন মন্ত্রণালয়ের ‘না’

চেম্বার ডেস্ক:: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠানোর বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয় ‘না’ বলে মতামত দিয়েছে।

 

সাজাপ্রাপ্ত কোনও ব্যক্তির দেশের সীমানার বাইরে যাওয়ার বা পাঠানোর কোনও সুযোগ না থাকায় এই মতামত দেয়া হয়।

মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে বলা হয়েছে সাজাপ্রাপ্ত কোনও ব্যক্তির দেশের সীমানার বাইরে যাওয়ার বা পাঠানোর কোনও সুযোগ আইনে নেই। এক্ষেত্রে খালেদা জিয়া দণ্ডপ্রাপ্ত। তাকে বিদেশে পাঠাতে হলে আগে দণ্ড মওকুফ করতে হবে। আদালত যেহেতু তাকে সাজা দিয়েছেন তাই তার দণ্ড মওকুফের একমাত্র ক্ষমতা আছে রাষ্ট্রের। এখনই রাষ্ট্রই তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।

 

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছে, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় খালেদা জিয়ার সাজা ও দণ্ডাদেশ স্থগিত করে যেভাবে তাকে সাময়িক মুক্তি দেওয়া হয়েছিল, তাতে এখন আর তাকে বিদেশে যেতে দেওয়ার ‘সুযোগ নেই’।

 

আইনমন্ত্রীর এ মতামত পাওয়ার পর রোববার  (৯ মে) বিকেলে খালেদাকে বিদেশ নেওয়ার বিষয়ে সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

তিনি বলেন, আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত অনুযায়ী তাদের (খালেদা জিয়ার ভাইয়ের) আবেদন মঞ্জুর করতে পারছি না। আইন অনুযায়ী যতটুকু করণীয় ততটুকু করেছি। কিন্তু আইনের বাইরে গিয়ে আমরা কিছু করতে পারি না।

 

গত বুধবার (৫ মে) রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ধানমন্ডির বাসায় আবেদনটি দিয়ে যান খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার। এরপর সেটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।

 

গত সোমবার (৩ মে) সকালের দিকে শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে চিকিৎসকরা খালেদা জিয়াকে সিসিইউতে স্থানান্তর করেন। এভারকেয়ার হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের অধীনে তিনি চিকিৎসাধীন আছেন।

 

২০১৭ সালের ১৮ অক্টোবর তিন মাসের চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছিলেন তিনি। এরপর খালেদা জিয়া আর কোনো দেশে যাননি।