বর্তমানে দেশে অক্সিজেনের কোনো সমস্যা নেই : পরিকল্পনামন্ত্রী
চেম্বার ডেস্ক::বর্তমানে দেশে অক্সিজেনের কোনো সমস্যা নেই উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, আমাদের আস্থা আছে কোনো সংকট হবে না। এছাড়া স্বাস্থ্যখাতে পর্যাপ্ত বরাদ্দ আছে। বর্তমানে হয়তো কিছুটা বাস্তবায়ন কম দেখাচ্ছে। স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় হয়েছে, হয়তো বিল এখনো পেমেন্ট হয়নি। বিল পেমেন্ট হলে বাস্তবায়ন ভালো দেখাবে।
মঙ্গলবার (৪ মে) অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে এসব কথা বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেকের সভায় অংশগ্রহণ করেন।
ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন আনার চুক্তি এক অর্থে ভেঙে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান। আইন অনুযায়ী চুক্তি থেকে ভারতের বেরুনোর সুযোগ না থাকলেও তাদের মানুষদের অবহেলা করে বাংলাদেশকে ভ্যাকসিন সরবরাহ করবে, এটাও মন্ত্রী আশা করেন না।
তিনি বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে আমাদের ভ্যাকসিন সরবরাহের চুক্তি ছিল। সেটা এক অর্থে ভেঙে গেছে। চুক্তি থেকে আইনগতভাবে তাদের বেরুনোর কোনও পথ নেই। আইনগত-নৈতিক সকল দিক থেকেই আমাদের অবস্থান খুবই স্ট্রং। কিন্তু একটা বিষয় তো স্বীকার করতেই হবে—ভারতের যে দুরবস্থা আমরা দেখছি, সেটা তো কোনও আনন্দের বিষয় নয়। আমরা দুঃখিত। তারা তাদের ঘর যদি সঠিক না করে, সেটা তাদের নিজেদের জন্য মুশকিলের ব্যাপার। এক্ষেত্রে তারা তাদের নাগরিকদের অবহেলা করে বা বাদ দিয়ে যেটুকু ভ্যাকসিন তাদের রয়েছে, তা আমাদের সরবরাহ করবে তা আমি আশা করি না।’
তিনি বলেন, ‘ভারতের প্রতি আমাদের সমবেদনা আছে। আমরা পারলে তাদের সহায়তা প্রদান করবো। ভ্যাকসিন মিলছে না। অক্সিজেন মিলছে না। আশা করছি, এই অবস্থা আমাদের এখানে হবে না। ভারতের অবস্থা দেখে আমরা শিখছি।’
সেরাম ইনস্টিটিউটের ভ্যাকসিনের সর্বশেষ অবস্থার কথা তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘খবরের কাগজে পড়ে এবং ইন্টারনেটে দেখে জেনেছি, ভ্যাকসিন যারা আবিষ্কার করে তাদের সক্ষমতা এখন শেষ পর্যায়ে রয়েছে। তারা এত ভ্যাকসিন তৈরি করতে পারছে না। সুতরাং, এটা একটা জটিল ব্যাপার। আমাদের এ বিষয় নজরে আছে। আর আপনারা জানেন, ভ্যাকসিনের বিষয়ে সরকার বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এবং সেটি এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে।’
করোনা নিয়ে ব্যতিব্যস্ত থাকার কারণে এতদিন একনেক মিটিং হয়নি বলে মন্ত্রী উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা এই সময়টাতে কোভিডে ব্যতিব্যস্ত ছিলাম। প্রধানমন্ত্রী পরিষ্কার বলেছেন, তার প্রধান কাজ কোভিড মোকাবিলা করা। ব্যাখ্যা করে বললে আমাদের প্রতিবেশী বৃহৎ দেশ ভারতের কোভিডে যে তছনছ অবস্থা! পার্শ্ববর্তী দেশ হিসেবে আমরা এটা নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে ছিলাম। এ সময় আমাদের সব কাজ কোভিডকে ঘিরেই ছিল।’