ভারতে মসজিদেই অস্থায়ী হাসপাতাল, সেবা নিচ্ছে সব ধর্মের মানুষ
চেম্বার ডেস্ক:: ভারতে সংখ্যালঘু মুসলিম নিপীড়নের অভিযোগ বহু দিনের। গুজরাটের দাঙ্গা, কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপ, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাসের পর গেলো বছর দিল্লির দাঙ্গাতেও বড় ভুক্তভোগী ধরা হয় মুসলিমদের।
ভারতীয় মুসলিমরা আবারও প্রমাণ করছেন ইসলাম শান্তির ধর্ম। দেশটিতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভয়াবহ খারাপ দশা। হাসপাতালগুলো বেড দিতে পারছে না।
এমন অবস্থায় করোনা রোগীদের জন্য মসজিদের দরজা খুলে দিয়েছেন তারা। যা হয়ে উঠছে একেকটি অস্থায়ী হাসপাতাল, যেখানে চিকিৎসা নিচ্ছেন সব ধর্ম-বর্ণের মানুষ।
ভারতের বেশ কয়েকটি বড় বড় মসজিদ করোনার চিকিৎসাকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে গুজরাটের ভাদোদারা শহরের জাহাঙ্গীরপুরা মসজিদের নাম উল্লেখযোগ্য। এটিকে সম্প্রতি ৫০ শয্যার হাসপাতালে রূপান্তর করা হয়েছে।
হাসপাতালটির ট্রাস্টি ইরফান শেখ বলেন, শহরের করোনা পরিস্থিতি ভালো না, মানুষ হাসপাতালে শয্যা পাচ্ছে না। তাই তাদের স্বস্তি দিতে আমরা মসজিদ খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
এদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্মস্থান গুজরাট দেশটির অন্যতম সর্বোচ্চ করোনায় আক্রান্ত রাজ্য। গতকাল সেখানে দেড় হাজার নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে, মারা গেছে অন্তত ১৫০ জন।
জাহাঙ্গীরপুরার মতো সেখানকার দারুল উলুম মসজিদকেও করোনা হাসপাতালে রূপান্তর করা হয়েছে। এতে শয্যা রয়েছে ১৪২টি। সেখানে ২০ জন নার্স ও তিনজন চিকিৎসক সার্বক্ষণিক করোনা রোগীদের সেবা দিয়ে চলেছেন।
জানা গেছে, মসজিদগুলো মুসলিমপ্রধান এলাকায় হলেও সেখানে চিকিৎসা নিচ্ছেদ সব ধর্মের মানুষ।
এ বিষয়ে ইরফান শেখ বলেন, আমাদের কেন্দ্রে ৫০ শয্যার ১৫টিতেই অমুসলিম রয়েছেন। আমরা মানবতার সেবা করি, ধর্মের নয়।
সূত্র: আরব নিউজ।