সর্বশেষ

» দুর্নীতির মামলায় এসকে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু

প্রকাশিত: ১৮. আগস্ট. ২০২০ | মঙ্গলবার

চেম্বার ডেস্ক:: সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাসহ (এসকে সিনহা) ১১ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলার বাদী দুর্নীতি দমন কমিশনের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত।

 

মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২৫ আগস্ট দিন নির্ধারণ করেন আদালত।

 

গত ১৩ আগস্ট দুর্নীতির এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ (অভিযোগ) গঠন করেন আদালত। সেদিন মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আজকের (১৮ আগস্ট) দিন নির্ধারণ করেছিলেন আদালত। এদিন মামলার পলাতক ৮ আসামির মধ্যে চারজন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তাদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।

 

জামিনপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন– ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমান পদ্মা ব্যাংক) ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক, টাঙ্গাইলের বাসিন্দা মো. শাহজাহান ও নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা।

 

পলাতকরা হলেন- সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমান পদ্মা ব্যাংক) ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, টাঙ্গাইলের বাসিন্দা রণজিৎ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী সান্ত্রী রায়।

 

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক এমডি একেএম শামীম, সাবেক এসইভিপি গাজী সালাহউদ্দিন ও সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. জিয়াউদ্দিন আহমেদ। এছাড়া মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মো. জিয়াউদ্দিন আহমেদ তদন্তকালে মারা যাওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

 

আদালত সূত্র জানায়, ৫ জানুয়ারি মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করে এসকে সিনহাসহ অপর আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত। ক্ষমতার অপব্যবহার, প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ফারমার্স ব্যাংক থেকে ঋণের নামে ৪ কোটি টাকা পে-অর্ডারের মাধ্যমে এসকে সিনহার ব্যক্তিগত হিসাবে স্থানান্তরের অভিযোগে গত বছরের ১০ জুলাই মামলা করা হয়। মামলায় সিনহাসহ ১১ জনকে আসামি করা হয়। গত ৯ ডিসেম্বর দুদক পরিচালক বেনজীর আহম্মদ আদালতে এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এছাড়া গত ডিসেম্বরের শুরুর দিকে মামলায় সম্পৃক্ত একজনের তিনটি ব্যাংক হিসাবে থাকা মোট ৭৮ লাখ টাকা ফ্রিজের আদেশও দিয়েছেন আদালত।

 

অভিযোগপত্রে বলা হয়, ব্যাংক থেকে ভুয়া ঋণের নামে ৪ কোটি টাকা বের করে পরে ওই অপরাধলব্ধ আয় ব্যক্তিগত হিসাব থেকে অস্বাভাবিকভাবে নগদে, চেক বা পে-অর্ডারে অন্য হিসাবে স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে আত্মসাৎ করা হয়েছে। আসামিরা ওই অর্থ নিজেদের ভোগদখল ও তার অবৈধ প্রকৃতি, উৎস, অবস্থান গোপনের মাধ্যমে পাচার বা পাচারের প্রচেষ্টায় সংঘবদ্ধভাবে সম্পৃক্ত হন।

 

এতে বলা হয়, ফারমার্স ব্যাংকে শাহজাহান ও নিরঞ্জন চন্দ্র সাহার নামে মঞ্জুরকৃত ঋণের ৪ কোটি টাকা সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার সুপ্রিমকোর্ট সোনালী ব্যাংক শাখার হিসাবে জমা হয়। সঞ্চয়ী হিসাব নং-৪৪৩৫৪৩৪০০৪৪৭৫-তে জমা হওয়ার পর ওই টাকা বিভিন্নভাবে স্থানান্তর করে উত্তোলন করা হয়। আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে প্রভাব বিস্তার করে নিজেরা লাভবান হয়ে এবং অন্যদের লাভবান করতে এ ধরনের অপরাধ করেন। আসামিরা দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪(২)(৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। বিচারপতি এসকে সিনহা আড়াই বছর ধরে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন।

image_print
           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

February 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
2425262728