করোনা রোগী আরও বাড়লে সামাল দেওয়া সম্ভব হবে না : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
চেম্বার ডেস্ক:: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, আমরা আর কত চিকিৎসা দেব, হাসপাতলে আর কত শয্যা বাড়াব। কত হাই ফ্লো নেজাল ক্যানোলা দেব, আমরা কত অক্সিজেনের ব্যবস্থা করব। হাসপাতাল তো আর রাতারাতি বৃদ্ধি করা যায় না। হাসপাতালের বেডও তো রাতারাতি বাড়ানো যায় না। তার পরও আমরা এই অল্প সময়ের মধ্যে আড়াই হাজার বেড থেকে ৭-৮ হাজার বেড বৃদ্ধি করেছি। দশগুণ রোগীও আমরা সামাল দিতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু তার পরও বাড়লে আর সম্ভব হবে না।
আজ বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) ‘খাদ্যের কথা ভাবলে, পুষ্টির কথাও ভাবুন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা দ্বিতীয় ঢেউ কেন এলো সেটার কারণ চিহ্নিত করতে হবে। আমরা করোনার বিস্তার রোধে বিয়ে, জন্মদিনসহ যে কোনো সামাজিক অনুষ্ঠান বন্ধ করেছি। জনসমাগম নিরুৎসাহে সব ধরনের সভা-সমাবেশ সীমিত করা হয়েছে। করোনার উৎপত্তি স্থানগুলোসহ পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ করা হয়েছে। ধর্মীয় ওয়াজ মাহফিলসহ সব ধরনের মেলা, পিকনিক বন্ধ রয়েছে। এভাবে কিছুদিন চললে আশা করা যায় করোনা সংক্রমণের হার কমে আসবে।
সুষম খাবার বেশি খাওয়ার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, পুষ্টি সপ্তাহে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি শাক-সবজি, ফলমূলসহ সুষম খাবার খেতে হবে। তেল, চিনি, লবণ কম খান।
জাহিদ মালেক বলেন, আমাদের দেশে ১০ শতাংশ মানুষ এখনো পুষ্টিহীনতায় ভোগে। তবে পুষ্টির দিকে ঘাটতি থাকলেও আশপাশের দেশ থেকে ভালো। এমনকি ভারতের থেকে পুষ্টির দিক থেকে আমরা ভালো অবস্থানে রয়েছি।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাসার খুরশিদ আলম, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক শাহানারা বেগম।
জাতীয় পুষ্টিসপ্তাহের আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া।