এদেশের সর্বকালের সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা: বিভাগীয় কমিশনার
চেম্বার ডেস্ক:: সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মো. মশিউর রহমান এনডিসি বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও উন্নয়ন এখন আর কোনো স্বপ্ন নয়। বাংলাদেশের অর্থনীতির এ অগ্রযাত্রার স্বীকৃতিও মিলেছে বিশ্বসভায়। সম্প্রতি স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বের হয়ে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করার চূড়ান্ত সুপারিশ পেয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের এ অগ্রযাত্রায় মহানায়কের ভূমিকা পালন করেছেন যিনি, তিনি আর কেউ নন। তিনি হলেন জাতির জনকের কন্যা, এদেশের গণমানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার শেষ ভরসাস্থল, এদেশের সর্বকালের সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার যোগ্য নেতৃত্বেই একসময়ের স্বল্পোন্নত ক্ষুদ্র অর্থনীতির দেশ আজ উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার পথে সব আয়োজন চূড়ান্ত করল। বাংলাদেশের জন্য এ উত্তরণ এক ঐতিহাসিক ঘটনা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মাত্র সাড়ে ৩ বছরে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে থেকে টেনে তুলে স্বল্পোন্নত দেশের কাতারে নিয়ে গিয়েছিলেন। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে তাঁরই হাতে গড়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় উন্নীত করল।
মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ও স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল বাংলাদেশ স্বীকৃতি পাওয়ায় সিলেট জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শনিবার (২৭ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় সিলেট জেলা স্টেডিয়াম প্রাঙ্গণে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ পিপিএম, সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন ও সিলেট জেলা কারাগারের ডিআইজি (প্রিজন্স) মো. কামাল হোসেন।
সিলেট জেলা শিল্পকলা একাডেমীর কালচারাল অফিসার অসিত বরণ দাশ গুপ্তের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আসলাম উদ্দিন, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আল আজাদ, সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহিত চৌধুরী, প্রমুখ।
এর আগে সকাল ১০টায় সিলেট নগরীর চৌহাট্টাস্থ কেন্দ্রীয় শহিদমিনার থেকে সিলেট জেলা স্টেডিয়াম পর্যন্ত এক বর্ণাঢ্য আনন্দ র্যালি অনুষ্ঠিত হয়।