শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২৫ ও ২৬ মার্চ পালনের নির্দেশনা
চেম্বার ডেস্ক:: করোনার কারণে বন্ধ থাকার পরও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ২৬ মার্চ পালনের নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। দিবস পালনের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে মাউশি থেকে পাঁচটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) মাউশির পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) প্রফেসর মো. শাহেদুল খবির চৌধুরী স্বাক্ষরিত নির্দেশনা সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়, ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস ২০২১ উপলক্ষে জাতীয় কর্মসূচির আলোকে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও দফতরগুলোতে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করতে অনুরোধ করা হলো।
২৫ মার্চ বাদ জোহর অথবা সুবিধাজনক সময়ে ২৫ মার্চ রাতে নিহতদের স্মরণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অফিসগুলোতে সংশ্লিষ্ট মসজিদ মন্দির গির্জাসহ সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনার আয়োজন। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিহতদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অফিসগুলোতে থেকে ৯টা থেকে ৯টা এক মিনিট পর্যন্ত প্রতীকী ব্লাকআউট পালন। এ দিবসে কোনো ধরনের আলোকসজ্জা করা যাবে না।
২৫ মার্চ সুবিধাজনক সময়ে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যক্তি অথবা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অংশগ্রহণে অনলাইনে ২৫ মার্চ গণহত্যা স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভার আয়োজন। গণহত্যা দিবসের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুনের মাধ্যমে গণহত্যার চিত্র তুলে ধরা।
আদেশে আরো বলা হয়, যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এ পত্র জারি করা হলো।
এদিকে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গণহত্যা ও স্বাধীনতা দিবস পালন করা হবে। এ জন্য নানামুখী কর্মসূচি গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) মাদরাসা বোর্ডের রেজিস্ট্রার মো. সিদ্দিকুর রহমান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগ হতে নির্দেশনা মোতাবেক আগামী ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস ও ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস পালন করতে হবে। এ দুই বিশেষ দিন পালনে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। এসব কর্মসূচি বাস্তবায়নে সকল মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- স্কুল/কলেজ/মাদরাসাসহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যক্তি/বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কণ্ঠে ২৫ মার্চ গণহত্যার স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভা করতে হবে। সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে হবে। দেশের সকল বিভাগ, জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে সকালে কুচকাওয়াজ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী সমাবেশ, জাতীয় সংগীত পরিবেশন এবং ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। জাতীয় পর্যায়ে রচনা ও বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজনসহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে বলা হয়েছে।
যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এ আদেশ জারি করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সব আবেদন বাস্তবায়নে নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানানো হয়েছে।