জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন
চেম্বার ডেস্ক:: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকায় এসে প্রথমে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বাংলাদেশে সফররত শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে।
আজ শুক্রবার (১৯ মার্চ) সকাল ১১টায় সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রবেশ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি স্মৃতিসৌধের পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
এরপর তিনি স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে একটি পারিজাত ফুল গাছের চারা রোপণ করেন। পরে তিনি ১১টা ১৪ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন।
জাতীয় স্মৃতিসৌধের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসের আগমনকে ঘিরে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধ এবং এর আশেপাশের এলাকায় নেওয়া হয় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকা আসেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিভিআইপি টার্মিনালে পৌঁছে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১০ দিনের আয়োজনের তৃতীয় দিন জাতির জনকের জন্মদিনে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডের অনুষ্ঠানে বিকেলে যোগ দেবেন মাহিন্দা রাজাপাকসে।
শনিবার (২০ মার্চ) সকালে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করবেন। এরপর শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রাজাপাকসে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করবেন। দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক শেষে উভয় দেশের মধ্যে ৫টি সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে।
শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ২৮ সদস্যের প্রতিনিধি দল ঢাকায় আসছে। এর মধ্যে বেশ কয়েক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী রয়েছেন। দেশটির শিক্ষামন্ত্রী, তাঁত ও বস্ত্রবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী, আঞ্চলিক সহযোগিতাবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী, গৃহায়ণ ও গৃহনির্মাণসামগ্রী শিল্পবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী, অর্থ প্রতিমন্ত্রীসহ সরকারি কর্মকর্তারা মাহিন্দা রাজাপাকসের সফরসঙ্গী হচ্ছেন।
দুই দিনের সফর শেষে আগামী ২০ মার্চ সন্ধ্যায় শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী ঢাকা ত্যাগ করবেন।
১০ দিনের এই আয়োজনে ২২ মার্চ নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারী, ২৪ মার্চ ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং এবং ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যোগ দেবেন।
দশ দিনব্যাপী এ আয়োজনে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধানদের বক্তব্য ও ভিডিও বার্তা ছাড়াও বন্ধুরাষ্ট্রগুলোর সাংস্কৃতিক দলের পরিবেশনা থাকবে।