মুজিব জন্মশতবর্ষে ১৭-২৬শে মার্চ পর্যন্ত ১০ দিনব্যাপী অনুষ্ঠান
চেম্বার ডেস্ক:: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠান এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর উদ্বোধন অনুষ্ঠান উপলক্ষে আগামী ১৭ থেকে ২৬শে মার্চ পর্যন্ত ১০ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
বিকেলে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ডক্টর কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।
কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী আরও বলেন,’দশদিন ব্যাপী আমরা যে অনুষ্ঠানটা সাজিয়েছি, এর যে থিম সেটা হচ্ছে ‘মুজিব চিরন্তর’। মুজিববর্ষের সঙ্গে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী কিন্তু যুক্ত হচ্ছে। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং মুজিববর্ষের আয়োজন এটি একসাথে চলবে।’
এই করোনাকালে অয়োজনের সতর্কতা অবলম্বন বিষয়ে তিনি বলেন,’এই ১৭ তারিখের অনুষ্ঠানে যিনি উপস্থিত থাকবেন তাকে ১৫ তারিখে করোনা টেষ্ট করাতে হবে। সেটা দাওয়াত পত্রের মধ্যে আমরা উল্লেখ করেছি। ‘
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং মুজিব শতবর্ষের আয়োজন একসাথে পালিত হবে। আপাতত ১৭ থেকে ২৬শে মার্চ পর্যন্ত ১০ দিনের অনুষ্ঠান সাজানো হয়েছে।
১৭ই মার্চ জাতীয় প্যারেড স্কোয়ারে অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র প্রধানরা থাকবেন বলে জানানো হয়। ২৬শে মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর লোগো উন্মোচন করা হবে।
এদিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া ১০ দিনের অনুষ্ঠানে দেশি বিদেশি শিল্পীরা সাংস্কৃতিক পরিবেশনা করবেন।
মুজিব চিরন্তনে যা থাকছে :
১৭ মার্চের আয়োজনের থিম ‘ভেঙেছে দুয়ার এসেছ জ্যোতির্ময়’। এদিন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ প্রধান অতিথি থাকবেন। সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওইদিন মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ইবরাহীম মু. সালেহ উপস্থিত থাকবেন। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ভিডিও বার্তা দেবেন।
১৮ মার্চ আয়োজনের থিম ‘মহাকালের তর্জনী’। সে অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেবেন কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেন।
১৯ মার্চের অনুষ্ঠান ‘যতকাল রবে পদ্মা যমুনা’। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে উপস্থিত থাকবেন।
২০ মার্চ ‘তারুণ্যের আলোকশিখা’। এই অনুষ্ঠানে ওআইসি’র সেক্রেটারি জেনারেল ড. ইউসেফ আল ওথাইমিন শুভেচ্ছা বক্তব্য দেবেন।
২১ মার্চের আয়োজন ‘ধ্বংসস্তূপে জীবনের গান’, এতে দেশীয় একাডেমিশিয়ানরা বক্তব্য দেবেন।
২২ মার্চের আয়োজন ‘বাংলার মাটি আমার মাটি’। এদিন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারী উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইউশিহিদে সুগা শুভেচ্ছা বার্তা দেবেন।
২৩ মার্চ ‘নারীমুক্তি, সাম্য ও স্বাধীনতা’, এদিন ইউনেস্কোর ডিজি উপস্থিত থাকবেন।
২৪ মার্চ ‘শান্তি-মুক্তি ও মানবতার অগ্রদূত’, সেদিন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং উপস্থিত থাকবেন। পোপ ফ্রান্সিস শুভেচ্ছা বার্তা দেবেন।
২৫ মার্চ ‘গণহত্যার কালরাত্রি ও আলোকের অভিযাত্রা’। এদিন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী চুং স্যু-কুয়েন এবং তাকাশি হাওয়াকাওয়ার পুত্র ওসামু হাওয়াকাওয়া শুভেচ্ছা বার্তা দেবেন।
২৬ মার্চের আয়োজন ‘স্বাধীনতার ৫০ বছর ও অগ্রগতির সুবর্ণরেখা’। এদিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উপস্থিত থাকবেন। পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থাকবেন।
ভিআইপিরা যেদিন অনুষ্ঠানে থাকবেন সেদিন ৫’শ অতিথি থাকবেন বলেও জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডাক্তার দীপু মনি, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম উপস্থিত ছিলেন।