সর্বশেষ

» করোনাভাইরাস যখন পারেনি তখন আমাদের অগ্রযাত্রা কেউ থামিয়ে দিতে পারবে না : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৪. মার্চ. ২০২১ | বৃহস্পতিবার

চেম্বার ডেস্ক:: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশ্বে এখন আমরা মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত। আমাদের অগ্রযাত্রা কেউ থামিয়ে দিতে পারবে না। করোনাভাইরাস যখন পারেনি, কেউ আর পারবে না। এটাই আমার বিশ্বাস।

 

আজ বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় কর্তৃক ২০২০-২০২১ অর্থবছরের শিক্ষার্থী ও গবেষকদের বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ, এনএসটি ফেলোশিপ এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গবেষক ও বিজ্ঞানীদের বিশেষ গবেষণা অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন আমি সব সময় চাই যে মানবকল্যাণে কাজ করতে হবে এবং আপনারা এইটুকু মনে রাখবেন যে, আমরা যে ফেলোশিপ দিচ্ছি বা অর্থ বরাদ্দ করেছি এটা কিন্তু জনগণেরই অর্থ। কাজেই তা যেন জনগণের কল্যাণে লাগে, সেই দিকটায় বিশেষ করে দৃষ্টি দিয়ে গবেষণাকাজ আপনারা চালিয়ে যাবেন, সেটা আমরা চাই।

 

জাতির পিতা দেশের মানুষকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, যেখানে জাতির পিতা যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশ গড়ে স্বল্পোন্নত দেশ রেখে গিয়েছিলেন। আমরা এখন উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আজকে আমাদের অবস্থানটা করতে পেরেছি। আমরা ভবিষ্যতে উন্নত দেশ হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করব। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে মর্যাদা পেয়েছে। এখন আর বাংলাদেশকে কেউ অবহেলার চোখে দেখতে পারবে না।

 

আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষাকে গুরুত্ব দেয় জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে যখন সরকার গঠন করি তখন অবাক হয়ে দেখলাম বিজ্ঞানের জন্য কোনো বরাদ্দ ছিল না, গবেষণার জন্য কোনো বরাদ্দ ছিল না। এমনকি শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান পড়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিল। কিন্তু বিশ্বব্যাপী আমরা যদি দেখি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এটা তো আমাদের অগ্রগতি সাধন করবার একটা উপায়। গবেষণা ছাড়া বা বিজ্ঞান প্রযুক্তি শিক্ষা ছাড়া কিভাবে একটা জাতি সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে? কারণ বিজ্ঞানের যুগে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন উদ্ভাবন হচ্ছে। তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আমাদের চলতে হবে।

 

আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর গবেষণার জন্য বাজেটে আলাদা বরাদ্দ রাখার পাশপাশি বিজ্ঞান শিক্ষার প্রসারে নানা উদ্যোগ নিয়েছে উল্লেখ করে শিক্ষা ও গবেষণায় সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেওয়ার কথাও জানান সরকারপ্রধান।

 

তিনি বলেন, প্রত্যেক বিভাগে নভোথিয়েটার করে দেব। যাতে প্রতিটি শিক্ষার্থী বিজ্ঞান জানতে পারে। আমরা গবেষণার ওপর জোর দিচ্ছি। এর মাধ্যমে ব্যয় কমানো, উৎপাদনশীলতা বাড়ানো ও বাজারজাতকরণ সহজ হয়। নতুন নতুন পণ্য সৃষ্টি বা উদ্ভাবন করা যায়।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে জলমগ্ন ধান গবেষণা হচ্ছে। স্ট্রবেরিসহ বিভিন্ন ফলের উৎপাদন দেশে হয়। এগুলো সবই গবেষণার ফসল। আমাদের মানুষ ও উর্বর মাটি আছে। সেগুলোকে কাজে লাগিয়ে উন্নত দেশ গড়বো।

 

তিনি বলেন, পঁচাত্তরের পর যারা ক্ষমতায় ছিল তারা শিক্ষার উন্নতির পরিবর্তে অবনতি করেছে। শিক্ষাঙ্গণে অস্ত্রের ঝনঝনানি, শিক্ষার্থীদের হাতে অস্ত্র ও টাকা তুলে দিয়ে তাদের বিপথগামী করেছে। ক্ষমতা ধরে রাখতে তাদের ব্যবহার করেছে।

 

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে শিক্ষানীতি করে শিক্ষাকে বহুমুখী করেছি। দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলছি। আমাদের সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হয়নি। শুধু করোনা মহামারি পরিস্থিতির কারণে গত বছর এ সমস্যা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের সুস্থতার জন্য বন্ধ রাখতে হয়েছে। অবশ্য মার্চের শেষে খুলে দেয়া হবে।

 

তিনি বলেন, ২০০৮ সাল থেকে এই পর্যন্ত সব কয়টি নির্বাচনে জয়ী হওয়ার ফলে আমরা যেহেতু দীর্ঘদিন সরকারে থাকার সুযোগ পেয়েছি এবং সরকারের ধারাবাহিকতা আছে, যার কারণে আজকে মানুষের যে মৌলিক চাহিদা, সেগুলো পূরণ করতে আমরা সক্ষম হয়েছি।

 

ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান ‘বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ’, এনএসটি ফেলোশিপ এবং বিশেষ গবেষণা অনুদানের চেক হস্তান্তর করেন।

 

ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন প্রান্তে এই সময় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আ ফ ম রুহুল হক, মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আনোয়ার হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

image_print
           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

October 2024
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031