সর্বশেষ

» কানাইঘাটে ৩ সন্তানের জননীকে ধর্ষণ, থানায় মামলা

প্রকাশিত: ০৩. মার্চ. ২০২১ | বুধবার

কানাইঘাট প্রতিনিধি::
সিলেটের কানাইঘাট উপজেলায় ধর্ষণের শিকার হয়ে ভিটাছাড়া হয়েছেন তিন সন্তানের এক জননী। ধর্ষণ ও অত্যাচার থেকে বাঁচতে বাপের বাড়ি আশ্রয় নিয়েছেন।

এ ঘটনার কানাইঘাট থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলার বিবরণ অনুযায়ী এবং ভিকটিম নারী ও তার পরিবারের বক্তব্য থেকে জানা যায়, উপজেলার আগতালুক গ্রামের মৃত শাহাব উদ্দীনের ছেলে জুবায়ের হাসান শিপু (২৭) গত ১৯ ফেব্রুয়ারী রাত ১২:০০ টার পর বোরকা পরে ওই নারীর বাঁশ-বেতের ঘরের দরজা কেটে ভেতরে প্রবেশ করে এবং আনুমানিক ১:০০ টার দিকে ধারালো ছুরি দেখিয়ে তিন সন্তানের এই জননীকে ধর্ষণ করে।

ধর্ষণের পর যাওয়ার সময় বিধবা নারীর মোবাইল নম্বর নিয়ে যায় অভিযুক্ত জুবায়ের এবং হুমকি দিয়ে যায় যে, ঘটনাটি যাতে জানাজানি না হয়। পরের দিন ফোন করে বলে সে আবারো আসবে। সুযোগ না দিলে বড় ধরণের ক্ষতি করবে। ভয়ে ভিকটিম নারী স্বামীর ভিটা ছেড়ে বাপের বাড়ি একই ইউনিয়নের গণিকান্দি গ্রামে চলে যান। এখনো বাপের বাড়িতে আছেন। স্বামীর রেখে যাওয়া ভিটায় ফিরতে পারবেন কিনা– এ নিয়ে আতংকিত বলে জানান ভিকটিম এই নারীর এক ভাই।

ভিকটিমের ভাই আরো জানান, তার ৩১ বছর বয়সী বোনের ১১ বছর বয়সী একটি মেয়ে, ৮ ও ৪ বছর বয়সী দুইটি ছেলে রয়েছে। ছোট ছেলেকে মাত্র কয়েক মাসের রেখে প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে মারা যান স্বামী। ঘটনার রাতে বিধবা নারীর তিন সন্তানের বড় দুই জন ছিল তাদের মামার বাড়িতে। এই সুযোগে জুবায়ের ধারালো দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে।

ঘটনার পরের দিন ভিকটিম নারী কানাইঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে গেলে সেখাকার কর্তব্যরত চিকিৎসকদের পরামর্শে তিনি সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান। সেখানে থেকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শেষে তিন সন্তানের জননী বিধবা এই নারী এখনো তার বাপের বাড়িতে অবস্থান করছেন।

ঘটনাটি জুবায়েরের চাচা নুরুদ্দিন, জসীম মৌলভী, স্থানীয় মুরব্বী মাওলানা আব্দুল আজিজ, মেম্বার বদরুল ইসলামসহ অন্যদের জানানো হয়। অভিযোগ রয়েছে, ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। এ ব্যাপারে মাওলানা আব্দুল আজিজ বলেন, ‘আমি ছিলাম বরিশাল। শুনেছি এ রকমের একটি ঘটনা ঘটেছে। আমরা বৈঠকে বসবো, তারপর আপনাদেরকে জানাবো। বিধবা নারীটি খুবই অসহায় ও গরীব এবং বাপের বাড়ির উপর নির্ভরশীল হলেও ভালো চরিত্রের অধিকারী।” জুবায়েরের চাচা নুরুদ্দিন বলেন, এটা ষড়যন্ত্রমূলক। জুবায়ের এ ব্যাপারে দোষী নয়। ফাঁসানোর জন্য একটি সাজানো মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ঘটনার ১২ দিন অতিবাহিত হলেও আসামীকে এখনো ধরা যায়নি। কানাইঘাট থানা পুলিশ জানিয়েছে ০১/০৩/২০২১ ইং তারিখে মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে।
কানাইঘাট থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ জাহিদুল হক বলেন, পুলিশ আসামী গ্রেফতারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। শীঘ্রই আসামী গ্রেফতারের ব্যাপারে পুলিশ আশাবাদী।

 

image_print
           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

November 2024
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930