সর্বশেষ

» পাকিস্তান সৃষ্টির আগেই বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন বঙ্গবন্ধু: কৃষিমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১৪. আগস্ট. ২০২০ | শুক্রবার

চেম্বার ডেস্ক:: কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, পাকিস্তান সৃষ্টির আগেই বঙ্গবন্ধু পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা পাড়ের অঞ্চল নিয়ে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখেছিলেন।

 

তিনি বলেন, পদ্মা-মেঘনা-যমুনা পাড়ের এই অঞ্চলটি সত্যিকার অর্থেই কোনো দিন স্বাধীন ছিল না। বঙ্গবন্ধুই এই দেশটিকে (বাংলাদেশ) একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেন। সেই জাতি ও রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নির্মম ও নিষ্ঠুরভাবে সপরিবারে হত্যা করা হয়। এটি আমাদের জন্য চরম কষ্টের, দুঃখের ও লজ্জার দিন।

 

শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) আয়োজিত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতার শাহাদাতবার্ষিকী এবং করোনাকালে সাংবাদিকদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত সহায়তা চেক প্রদান ও দোয়া অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

 

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপুর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) সভাপতি মোল্লা জালাল।

 

এছাড়া বক্তব্য দেন বাংলাদেশ প্রেস ইন্সটিটিউটের (পিআইবি) মহাপরিচালক সিনিয়র সাংবাদিক জাফর ওয়াজেদ, স্বদেশ প্রতিদিন পত্রিকার সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রতন, বিএফইউজে নির্বাহী সদস্য শেখ মামুনুর রশীদ, ডিইউজের সহ-সভাপতি এমএ কুদ্দুস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক এ জিহাদুর রহমান, দফতর সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস চৌধুরী সোহেল প্রমুখ।

 

কৃষিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৪৭-এর আগে থেকেই শুরু করেছিলেন স্বাধীনতার আন্দোলন। তখনই তিনি বুঝতে পেরেছিল এটা শুধু ধর্ম দিয়ে অবৈজ্ঞানিকভাবে দুইটি দেশকে ভাগ করা হয়েছিল। তারা আমাদেরকে শাসন, শোষণ ও লুন্ঠনের জন্য ভাগ করেছিল। পাকিস্তান শুধু পূর্ব বাংলাকে শোষণ করেছে। পূর্ববঙ্গের কুটির শিল্প, মসলিন, জামদানি, পাট সব মিলিয়ে তারা আমাদেরকে ২৩ বছর শাসন ও লুণ্ঠন করেছে। পাকিস্তানের অর্থনৈতিক ভিত্তি তৈরি হয়েছিল বাংলাদেশের অর্থ দিয়ে। তারা মরুভূমিকে উর্বর করেছিল, বিভিন্ন বাঁধ করেছিল। আমরা আজকে বলি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, দর্শন, অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক, ন্যায় ও সততার ভিত্তিতে একটি রাষ্ট্র বা সমাজ ব্যবস্থার কথা। দীর্ঘ দিন বঙ্গবন্ধু এই আদর্শের জন্য লড়াই ও সংগ্রাম করেছেন। এই বাংলার মানুষকে তিনি জাগ্রত করেছেন। বঙ্গবন্ধু ৫০ দশকের শুরু থেকে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বাঙালি জাতির শোষণ শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন ও বাঙালি জাতির স্বাধীনতার জন্য। এজন্য তিনি বার বার পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়েছেন। সেসময় বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় এসেছে সুভাষ বসু ছিল অভিযাত্রিকের প্রতিনিধি আর শেখ মুজিব ছিলেন তৃণমূল সাধারণ মানুষের প্রতিনিধি। তাদের আত্মার আত্মীয় ছিলেন শেখ মুজিব। এজন্যই তিনি সফল হয়েছিলেন।

 

কৃষিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর আন্দোলনে সংগ্রামে ঘনিষ্টভাবে কাজ করেছেন সাংবাদিক সমাজ। দেশের এই দুর্যোগ মুহূর্তে আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাংবাদিক সমাজকে সহযোগিতা দিয়েছেন। রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ সাংবাদিক সমাজ। অনেক বুদ্ধিজীবীরা বলেছিল বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর টিকে থাকবে না। যদি টিকে থাকে তা বিদেশি সাহায্যের ওপরে থাকবে। কিন্তু বর্তমানে আমাদের বাজেটে বিদেশি সাহায্য মাত্র ২ ভাগ। ১০ বছর আগে ছিল ১৫/২০ ভাগ। বিদেশিদের সব অনুমান মিথ্যা প্রমাণ করে দেখিয়েছেন বাংলাদেশ ভিক্ষুকের জাতি নয়। বিদেশি সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল নয়। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। পৃথিবীর সবচেয়ে ঘণবসতি পূর্ণ দেশ হওয়া সত্ত্বেও আমাদের দেশে আজ কেউ না খেয়ে থাকে না। মাথাপিছু জমি ছিল ২৮ শতাংশ বর্তমানে তা দাঁড়িয়েছে ১০ শতাংশে। তারপরও আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ।

 

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য আরও বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি এখনও সক্রিয়। আমি শুধু সাংবাদিকদের বলবো যারা মিথ্যাচার করে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে আপনারা সত্য তুলে ধরবেন। আর যারা বিভ্রান্ত করতে চাচ্ছে তাদের সুস্পষ্ট জবাব আমাদের দিতে হবে।

 

সাংবাদিক নেতা মোল্লা জালাল বলেন, ৭১-এর পরাজিত শত্রুরাই ৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছে। হত্যার পরিকল্পনাকারী ও পরবর্তীতে হত্যাকারীদের শেল্টারদানকারীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। তাদের অনেকে এখনও আওয়ামী লীগে প্রবেশ করে সময়মতো ছোবল দেয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের খুজে বের করতে হবে। বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, অসাম্প্রদায়িক ও উন্নয়নের বাংলাদেশের বিষয়ে কোনো ধরনের ছাড় দেয়া হবে না। যারা এসব বিষয়ে ছাড় দেবে তারাই দেশদ্রোহী ও রাষ্ট্রদ্রোহী। তাদের বিষয়ে সর্তক থাকতে হবে।

image_print
           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

April 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930