ঢাকা মেট্রোপলিটন বার এসোসিয়েশনে সর্বোচ্চ ভোটে বিজয়ী সিলেটের আয়েশা
চেম্বার ডেস্ক::
ঢাকা মেট্রোপলিটন বার এসোসিয়েশনের (২০২১-২২) নির্বাচনে ফের নির্বাচিত হয়েছেন সিলেটের মেয়ে এডভোকেট আয়েশা সিদ্দিকা। একইসাথে একই এসোসিয়েশনে (২০১৯-২০) সদস্য হিসেবে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে তিনি নির্বাচিত হয়েছিলেন। এর আগে তিনি তিনি ঢাকা ট্যাক্সেসবার এসোসিয়েশনে নীল প্যানেল থেকে (২০১৮-১৯) তিনি সদস্য পদে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
রোববার (৩১ জানুয়ারি) ঢাকা মেট্রোপলিটন বার এসোসিয়েশনের নির্বাচনে তিনি সর্বদলীয় ঐক্য প্যানেল থেকে লাইব্রেরি সম্পাদক পদে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
এবারের নির্বাচনে সর্বদলীয় ঐক্য প্যানেল থেকে তিনি লাইব্রেরি সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন। নির্বাচনে সমান সংখ্যক ভোট পাওয়ায় দপ্তর সম্পাদক পদে টসের মাধ্যমে আওয়ামী আইনজীবী প্যানেলের একজনকে নির্বাচিত করা হয়।
সিলেটের সংস্কৃতি অঙ্গণের প্রিয়মুখ এডভোকেট আয়েশা সিদ্দিকার পিতা সিলেটের শাহী ঈদগাহস্থ সরকারি চাকুরীজীবি ও বিশিষ্ট সমাজসেবি মরহুম আবদুর রশিদ। অয়েশা সিলেট বেতারের একজন তালিকাভুক্ত উপস্থাপক হিসেবে পরিচালনা করতেন ‘সুখের নীড়’, ‘নবকল্লোল’,‘কিশলয়’ ‘মহিলা অঙ্গণ’ সহ একাধিক অনুষ্ঠান। সিলেটের প্রাচীন সাহিত্য সংগঠন মুসলিম সাহিত্য সংসদ, নজরুল একাডেমি ও রেড ক্রিসেন্টের লাইফ মেম্বারসহ বহু সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন তিনি। তিনি সিলেট রাইফেলস ক্লাবের পক্ষ থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করে সিলেটের জন্য সুনাম অর্জন করেন। জেলা আইনগত সহায়তা সংস্থা ও বিএইচআরবিরও সদস্য ছিলেন। তিনি ২০০৭ সাল পর্যন্ত সিলেটে এপিপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি ঢাকা সাউথ এশিয়ান হিউম্যান রাইটস এর মেম্বার হিসেবে সার্কভুক্ত দেশের প্রতিনিধিদের সাথে দিল্লি সফর করেন সার্কভুক্ত দেশ। ঢাকা শিল্পকলা একাডেমির ভাওয়াইয়া গ্রুপের সদস্য আয়েশা ঢাকাস্থ সিলেটের বৃহৎ সংগঠন জালালাবাদ এসোসিয়েশনের একজন লাইফ মেম্বার। মা ছিলেন নগরীর জালাল উদ্দিন স্কুলের শিক্ষিকা ছিলেন। ছোটো বোন মরিয়ম সিদ্দিকা পেশায় একজন ডাক্তার। বড় ভাই আবদুল আহাদ কন্ট্রাকটারী করেন এবং ছোটো ভাই আবদুল কাদির ইঞ্জিনিয়ার। আয়েশা সিদ্দিকার এক ছেলে এবং ১ মেয়ে বর্তমানে নিউইয়র্কে লেখাপড়া করছেন।
তিনি এক প্রতিক্রিয়ায় নিজের এই বিজয়কে সিলেটবাসীর প্রতি উৎসর্গ করে বলেন, এই বিজয় আমার নয়-গোটা সিলেটের। আমি ঢাকায় কর্মজীবন শুরু করলেও শেকঁড়ের প্রতি টান কখনই কমতে পারেনা। তিনি সিলেটবাসীর প্রতি দো’আ কামনা করে নিজ দায়িত্ব পালনে সকলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
উল্লেখ্য নির্বাচনে সর্বদলীয় ঐক্য প্যানেল ৭ টি পদে অংশ নিয়ে ৫ টিতে জয় লাভ করে। আর আওয়ামী প্যানেল ৮ টি পদের মধ্যে তিনটি পদে জয়লাভ করে।