সিলেটে এইচএসসিতে জিপিএ ৫ পেয়েছে ৪২৪২ জন

নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে পরীক্ষা ছাড়াই বিশেষ পদ্ধতিতে এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এ বছর এইচএসসি (উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট) পরীক্ষায় ফলাফলে সিলেট শিক্ষাবোর্ড থেকে এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ হাজার ২৪২ জন। গত বছর এই সংখ্যা ছিলো ১ হাজার ৯৪ জন।  সেই তুলনায় সিলেটে জিপিএ-৫ বেড়েছে তিনগুন।

সিলেট শিক্ষা বোর্ডে এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ হাজার ২৪২ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ছেলে ২ হাজার ১৩৩ জন ও মেয়ে ২ হাজার ১০৯ জন।

২০১৯ সালে এ বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১০৯৪ জন। ওই বছরের চেয়ে এবার ৩ হাজার ১৪৮ জন বেশি শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে।

এর আগে, ২০১৮ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৮৭৩ জন, ২০১৭ সালে পেয়েছিল ৭০০ জন আর ২০১৬ সালে পেয়েছিল ১৩৩০ জন।

এদিকে, এ বছর জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগের ৩ হাজার ৭৫৮ জন রয়েছেন। মানবিক বিভাগ থেকে ২৭১ জন পেয়েছেন জিপিএ-৫। এছাড়া ব্যবসা শিক্ষা বিভাগের ২১৩ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছেন।

সিলেট শিক্ষা বোর্ডের সচিব মো. মোস্তফা কামাল আহমদ বলেন, করোনার কারণে এবার এইচএসসি পরীক্ষা হয়নি। তাই এসএসি ও জেএসসি উভয় পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করে শিক্ষার্থীদের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য- এবার ১ লাখ ৬১ হাজার ৮০৭ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছেন। শনিবার একযোগে ১১টি শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। এবার মহামারীর মধ্যে পরীক্ষা ছাড়া সব শিক্ষার্থীকে পাস করানো হলো।

এইচএসটি ও সমমানে গত বার পাসের হার ছিল ৭৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ। তার আগের বছর ছিল ৬৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ।

এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৬১ হাজার ৮০৭ জন শিক্ষার্থী। গত বার এই সংখ্যা ছিল ৪৭ হাজার ২৮৬। তার আগের বছর ছিল ২৯ হাজার ২৬২।

ঢাকার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সকালে এক অনুষ্ঠানে এই ফল প্রকাশ হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে ডিজিটালি এই পাবলিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেন।

প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে এইচএসসির ফলাফলের সারসংক্ষেপ গ্রহণ করেন।