সিলেটের উন্নয়নে ‘মুগ্ধ’ দুই মন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক: সিলেটের উন্নয়ন কর্মকান্ড নিয়ে মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন। শুক্রবার বিকেলে সিলেট সিটি করপোরেশন আয়োজিত ‘উন্নয়ন অগ্রযাত্রা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এ মুগ্ধতা প্রকাশ করেন তারা।
নগরের একটি হোটেলের হলরুমে আয়োজিত এই মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। সভার শুরুতে সিলেট নগরের উন্নয়ন নিয়ে তিনি নিজের পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
এরআগে দিনভর সিলেট নগরের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিদর্শন করেন দুই মন্ত্রী। এরপর মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিলেট নগরের উন্নয়ন নিয়ে মুগ্ধতা প্রকাশ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, এমন কাজ যা জনগণের জন্য, যা বাংলাদেশের জন্য আমিও তার সহযাত্রী হতে চাই। এসময় তিনি টেকসই উন্নয়নে মনোযোগি হওয়ার জন্য আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, মেয়র যে কাজ করছেন তাতে আমার পূর্ণ সহযোগিতা রয়েছে। দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে আমি তার উন্নয়ন কার্যক্রমে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো।
তাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের দেশ এখন আর দরিদ্র নয়, আমাদের মাথাপিছু আয় এখন যে কোনো দেশের তুলনায় ঈর্ষণীয় গতিতে বাড়ছে। আমাদের জনসংখ্যা সম্পদে পরিণত হয়েছে। দেশে শিল্প বাড়ছে, বাড়ছে কর্মসংস্থান।
উন্নয়নে সবাইকে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, কে কোন দল করে তা মূখ্য নয়, আমাদের দেশের জন্য কাজ করতে হবে। আর দেশের স্বার্থে আমরা সবাই একতাবদ্ধ থাকতে বদ্ধপরিকর।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন বলেন, সিলেট নগরে খেলার মাঠের সল্পতা রয়েছে। আমাদের আরও কিছু মাঠ প্রয়োজন। মাঠের স্বল্পতা নিরসনের জন্য সিলেট সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রীও সিলেট সিটি করপোরেশনের উন্নয়ন কাজে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
সভার শুরুতে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক তার উন্নয়ন বিষয়ক নানা প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। যার মধ্যে অন্যতম সিলেট নগরীর লালাদিঘীরপার এলাকায় প্রায় ১৫ একর জায়গা নিয়ে ‘বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্স’। এই প্রকল্পের ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করেন স্থপতি ও নির্মাতা শাকুর মজিদ। ভিডিওচিত্রে প্রকল্পের নানা দিক তুলে ধরেন তিনি। তিনি জানান, এই প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, ভাষা আন্দোলন, ৭ মার্চের ভাষণ, সর্বোপরি বঙ্গবন্ধুকে তুলে ধরা হবে বিভিন্ন স্থাপত্যের মাধ্যমে। যেখানে নগরবাসীর বিনোদন ও কেনাকাটার ব্যবস্থা থাকবে।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দিন আহমদ, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহমদ প্রমূখ।
এর আগে শুক্রবার সকাল ১১টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সিলেটে এসে পৌঁছান স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন। এরপর দিনভর দুই মন্ত্রীকে নগরের বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ ঘুরিয়ে দেখান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।