সর্বশেষ

» করোনা মোকাবিলায় আরও ২ প্যাকেজ অনুমোদন

প্রকাশিত: ১৭. জানুয়ারি. ২০২১ | রবিবার

চেম্বার ডেস্ক:: ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্পে গতি সঞ্চার এবং সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি সম্প্রসারণে ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকার আরও দুটি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে সরকার।

 

আজ রবিবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে অর্থ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা গাজী তৌহিদুল ইসলামের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মহামারীর প্রভাব মোকাবেলায় দেশের কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতে গতি সঞ্চার, গ্রামীণ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন এবং অতিদরিদ্র বয়স্ক ও বিধবাদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি সম্প্রসারণে প্রধানমন্ত্রী নতুন দুইটি প্রণোদনা কর্মসূচি অনুমোদন করেছেন। কর্মসূচি দুইটির বাস্তবায়ন অবিলম্বে শুরু হবে।

 

নতুন প্রথম প্যাকেজটির আকার এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা, যার আওতায় ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্প খাত এবং নারী উদ্যোক্তাদের জন্য নেওয়া কার্যক্রম সম্প্রসারণে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) ফাউন্ডেশনকে ৩০০ কোটি, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সংস্থা (বিসিককে) ১০০ কোটি এবং জয়িতা ফাউন্ডেশনকে ৫০ কোটি টাকা দেওয়া হবে।

 

পাশাপাশি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করতে এনজিও ফাউন্ডেশনকে ৫০ কোটি, সোসাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনকে ৩০০ কোটি, পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশনকে ৩০০ কোটি, ক্ষুদ্র কৃষক উন্নয়ন ফাউন্ডেশনকে ১০০ কোটি এবং বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডকে ৩০০ কোটি টাকা দেওয়া হবে।

 

দ্বিতীয় প্যাকেজে ১২০০ কোটি টাকা আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশের ১৫০টি উপজেলায় দরিদ্র্য সব বয়স্ক এবং বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা নারীকে ভাতার ব্যবস্থা করা হবে।

 

নতুন অনুমোদিত এই দুটিসহ মোট প্রণোদনা প্যাকেজের সংখ্যা হল ২৩টি। এসব প্যাকেজের মোট আর্থিক পরিমাণ এক লাখ ২৪ হাজার ৫৩ কোটি টাকা (জিডিপির ৪.৪৪ শতাংশ)।

 

গত বছরের মার্চে দেশে কোভিড-১৯ মহামারী শুরুর পর বৃহৎ, মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পের জন্য পৃথক ঋণ প্রণোদনা ঘোষণা করেছিল সরকার। ইতোমধ্যেই এসব প্রণোদনার অধিকাংশ অর্থ নির্বাচিতদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।

 

মহামারীর প্রকোপ চলতে থাকার মধ্যে গত নভেম্বরে অর্থনীতিতে প্রথম প্রণোদনার প্রভাব নিয়ে অর্থ বিভাগ আয়োজিত তিনদিন ব্যাপী আলোচনায় আরেকটি প্যাকেজ ঘোষণার সুপারিশ করেন অর্থনীতিবিদরা।

 

সভাগুলোতে মহামারী মোকাবেলায় গ্রামীণ অর্থনীতিকে বেগবান করার লক্ষ্যে ব্যাংক ব্যবস্থার পাশাপাশি কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাত সংশ্লিষ্ট সরকারি ও আধাসরকারি সংস্থা/ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ঋণ কার্যক্রমের পরিধি বাড়ানো, নারী-উদ্যোক্তা উন্নয়নে আরও পদক্ষেপ নেওয়া এবং দারিদ্র্য হ্রাসের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন অব্যাহত রাখতে পল্লী এলাকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন এবং অতিদরিদ্র পরিবারের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি সম্প্রসারণের সুপারিশ করা হয়।

image_print
           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

November 2024
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930