অবশেষে হবিগঞ্জে গেল বিআরটিসি বাস
চেম্বার ডেস্ক:: পরিবহন শ্রমিকদের বাধা ও হামলার পরে অবশেষে হবিগঞ্জের উদ্দেশ্যে সিলেট ছেড়ে গেছে বিআরটিসির বাস। আজ রবিবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টায় বাসটি কদমতলী বিআরটিসি কাউন্টার থেকে হবিগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি) সিলেট ডিপোর অপারেশন ম্যানেজার জুলফিকার আলী।
তিনি বলেন, ‘পরিবহন শ্রমিকদের বাধা ও হামলায় সকালে সিলেট থেকে হবিগঞ্জের উদ্দেশ্যে বাস ছেড়ে যেতে পারেনি। তবে বিকেলে বাসটি সিলেট ছেড়ে হবিগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। এছাড়া সিলেট থেকে শ্রীমঙ্গলগামী বাসটি নির্ধারিত সময় সকাল ৯টায়ই কাউন্টার ছেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু শেরপুরে ওই বাসটি আটকে দেয় পরিবহন শ্রমিকরা। তবে একঘন্টা পরই আবার বাসটি চালু করা হয়। যা ইতোমধ্যে নির্ধারিত গন্তব্যে পৌছে গেছে।’
এর আগে সকালে বিআরটিসি কাউন্টারে হামলা করেন পরিবহন মালিক শ্রমিকরা। রবিবার সকাল ৯টায় সিলেটের কদমতলী এলাকার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকার বিআরটিসির কাউন্টার থেকে বাস দুটি শ্রীমঙ্গল ও হবিগঞ্জের উদ্যেশে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। মৌলভীবাজারের উদ্দেশ্যে বাস কাউন্টার ছেড়ে গেলেও শেরপুরে তা আটকে দেয় পরিবহন শ্রমিকরা। আর হবিগঞ্জমুখি বাস ছাড়ার আগেই অর্ধশতাধিক পরিবহন শ্রমিকরা বিআরটিসির কাউকন্টারে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও মারধর করে।
বিআরটিসি কাউন্টার সূত্রে জানা যায়, সকাল নয়টায় শ্রীমঙ্গল রুটে বাস চালু করতে গেলে পরিবহনশ্রমিকেরা বাধা দেন। এসময় পরিবহন শ্রমিকরা কাউন্টারে এসে তালা ঝুলিয়ে দেন এবং কাউন্টার থেকে নগদ প্রায় সাড়ে ১২ হাজার টাকা এবং একটি ল্যাপটপ ছিনিয়ে নেন শ্রমিকরা। হামলায় সিলেট বিআরটিসির ডিপো ব্যবস্থাপকের ব্যবহৃত জিপের পেছনের গ্লাস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ সময় বিআরটিসির কয়েকজন কর্মচারী মারধরের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন। পরে পুলিশ প্রশাসনের লোকজন গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
তবে হামলার ঘটনা অস্বীকার করে সিলেট বিভাগীয় বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল কবীর পলাশ জানান, শ্রমিকরা কোথাও হামলা করেননি। তবে পরিবহন মালিকদের না জানিয়ে বাস চালু করায় শ্রমিকরা বাধা দেয়।
– সিলেটভিউ