শেষ পর্যন্ত সুপ্রিমকোর্ট ভোটের ফল পাল্টে দেবে: ট্রাম্প
চেম্বার ডেস্ক:: এবার আদালতের কাঁধে বন্দুক রেখে উতরে যাওয়ার ফন্দি আঁটছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার আশা শেষ পর্যন্ত সুপ্রিমকোর্ট ভোটের ফল পাল্টে দেবে। নির্বাচনে ভূমিধস জয়ের আশা আবারও ব্যক্ত করেছেন রিপাবলিকান এ নেতা।
বৃহস্পতিবার টুইটার ও ফেসবুক পোস্টে এ আশাবাদের কথা জানান তিনি।
সমর্থকদের আশ্বস্ত করে ট্রাম্প বলেন, আমি শুধু এতটুকু বলতে পারি আমায় নিয়ে মার্কিনিরা এখনও স্বপ্ন দেখছেন। জনগণের স্বপ্ন ও শক্তি প্রমাণের সুযোগ পেলে আমরাই জয়ী হতে চলেছি।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ তুলে ধরে ট্রাম্প বলেন, ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জালিয়াতির নির্বাচনের পর সুপ্রিমকোর্টের কাছে দেশকে রক্ষা করার সুযোগ এসেছে।
তবে বাস্তবতা হলো- দুদিন আগেই সুপ্রিমকোর্ট পেনসিলভানিয়ায় ট্রাম্প শিবিরের করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। টেক্সাসের অ্যাটর্নি জেনারেলের মামলার জবাব দিয়েছে দেশটির চারটি অঙ্গরাজ্য। জর্জিয়া, মিশিগান, পেনসিলভানিয়া ও উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যের দেয়া জবাব ট্রাম্পের পক্ষে যায়নি।
জবাবে চার অঙ্গরাজ্য টেক্সাসের অ্যাটর্নি জেনারেলও ট্রাম্পের নির্বাচনে কারচুপিসংক্রান্ত দাবিকে ভুয়াভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করেছেন। এমন ভিত্তিহীন মামলা খারিজ করার জন্য তারা সুপ্রিমকোর্টের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।
এর আগে ট্রাম্পের নিয়োগ দেয়া অ্যাটর্নি জেনারেল স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করার যে অভিযোগ ট্রাম্প করেছেন তার সপক্ষে পর্যাপ্ত প্রমাণ নেই।
যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যই ৩ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল প্রত্যয়ন করেছে। এই ফলে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। ১৪ ডিসেম্বর ইলেকটোরাল কলেজ ভোট দেবে। এতে বাইডেনেরই জয়জয়কার হওয়ার কথা।
এ পর্যন্ত বেসরকারি ফলে বাইডেন ৩০৬ ইলেকটোরাল ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। আর ট্রাম্প পেয়েছেন ২৩৪টি। পপুলার ভোটও বেশি পেয়েছেন বাইডেন।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নির্বাচনে ভোট জালিয়াতি ও কারচুপির অভিযোগ তুলে এ পর্যন্ত অর্ধশত মামলা করেছেন। তার মধ্যে ৩০টির মতো মামলা খারিজ হয়ে গেছে।
কোথাও নিজের মিথ্যা দাবি নিয়ে এখন পর্যন্ত দাঁড়াতে পারেননি ট্রাম্প। তবু তিনি তার জয় হবে বলে হুংকার দিয়ে চলছেন।
সব কিছু ঠিক থাকলে ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার কথা রয়েছে ডেমোক্র্যাট নেতা বাইডেনের।
তথ্যসূত্র : আলজাজিরা।