সর্বশেষ

» আগামী সপ্তাহেই শুরু হতে পারে শৈত্যপ্রবাহ

প্রকাশিত: ১১. ডিসেম্বর. ২০২০ | শুক্রবার

চেম্বার ডেস্ক:: বাংলা দিনপঞ্জিকা অনুযায়ী, এখনো অগ্রহায়ণ মাস। এরই মধ্যে হিমেল হাওয়া ও মধ্যরাতে ঠান্ডা জেঁকে বসেছে। সূর্যের দেখা মিলছে না ভর দুপুরেও। ঘন কুয়াশার চাঁদরে ঢেকে থাকছে চারপাশ। তবে দেশে এখনো শৈত্যপ্রবাহ বইছে না। মূলত দিনের তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় শীত বেড়েছে। আগামী চার-পাঁচদিন এমনই থাকবে। এর পর ৭-৮ দিনের মধ্যে শৈত্যপ্রবাহ আসতে পারে।

 

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, সারাদেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা একদম নিচে নেমে এসেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সিরাজগঞ্জের তাড়াশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুধু তাই নয়, দেশের মাত্র ৫টি অঞ্চল বাদে সারাদেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৯ থেকে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। আর বেশিরভাগ অঞ্চলের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৯ থেকে ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।

আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সারাদেশেই শীতের অনুভূতি বেড়েছে। সূর্যের আলো পড়ছে না, দিনের বেলা তাপমাত্রা খুব কম থাকছে– এ কারণে শীতের অনুভূতি বেড়েছে। শীত কিন্তু এখনও শুরু হয়নি। ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে তাপমাত্রা আসলে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়। শৈত্যপ্রবাহ না বইলেও শীতের অনুভূতি বেড়ে গেছে।’

 

তিনি আরো বলেন, ‘আগামী ১৭ থেকে ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে শৈত্যপ্রবাহ চলে আসতে পারে। এদিকে আরো চার-পাঁচ দিন এ অবস্থাই থাকতে পারে। এর মধ্যে দেশের পশ্চিমাঞ্চলে হালকা বৃষ্টিরও সম্ভাবনা রয়েছে। সবমিলিয়ে শীতের অনুভূতি আরও বাড়তে পারে।’

 

সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কমলেও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা খুব একটা কমেনি। ফলে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য কমে এসেছে। যেমন ঢাকায় আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং গতকাল সূর্য উঠলেও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ২৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ, ঢাকায় সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার মধ্যে পার্থক্য মাত্র ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

 

আজকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে সীতাকুণ্ডে ১৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল টেকনাফে, ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

image_print
           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

February 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
2425262728