হাইকোর্ট খুলছে বুধবার, ১৮টি নিয়মিত বেঞ্চ গঠন

চেম্বার ডেস্ক:: করোনাভাইরাস মহামারীতে বন্ধ থাকা হাইকোর্ট এবার খুলছে। সংক্রমণ ঝুঁকি এড়াতে তিন মাস ভার্চুয়ালি চলার পর এবার শারীরিক উপস্থিতিতে নিয়মিত হাইকোর্ট বেঞ্চে বিচারকাজ চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

 

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ৩৫টি ভার্চুয়াল বেঞ্চের পাশাপাশি ১৮টি নিয়মিত বেঞ্চ গঠন করে দিয়েছেন। আগামী বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বসবে এসব নিয়মিত বেঞ্চ।

 

উচ্চ আদালতের ভার্চুয়াল ও নিয়মিত বেঞ্চ সংক্রান্ত সুপ্রিম কোর্টের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ আক্তারুজামান ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত দুটি বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার এ তথ্য জানানো হয়।

 

দেশের অধস্তন আদালতে স্বাভাবিক বিচারকাজ শুরুর ছয় দিন পর উচ্চ আদালতেও সেই পথ খোলা হল।

 

৪ মাস পর ‍পুরোদমে খুলছে নিম্ন আদালত

 

হাইকোর্টের ৩৫টি ভার্চুয়াল বেঞ্চের মধ্যে ২৪টি দ্বৈত ও ১১টি একক বেঞ্চ রয়েছে। আর ১৮টি নিয়মিত বেঞ্চের মধ্যে দ্বৈত বেঞ্চ আছে ১৩টি, ৫টি একক বেঞ্চ।

 

নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার গত ২৬ মার্চ থেকে সারা দেশে ছুটি ঘোষণা করে। তার সঙ্গে মিল রেখে আদালতেও শুরু হয় ছুটি। সরকারের সাধারণ ছুটির সঙ্গে আদালতের সাধারণ ছুটিও বাড়তে থাকে।

 

এই পরিস্থিতিতে ‘ভার্চুয়াল আদালতে’ শুনানির জন্য গত ৯ মে সরকার ‘আদালত কর্তৃক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার’ অধ্যাদেশ জারি করে; সংসদ যেটিকে পরে আইনে পরিণত করেছে।

 

পরদিন সর্বোচ্চ আদালতের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সে ‘ফুলকোর্ট’ সভা করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।

 

ফুলকোর্ট সভার পর ওইদিনই অধস্তন আদালতে ভার্চুয়াল জামিন শুনানির নির্দেশ আসে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন থেকে। তার জন্য তিনটি বিশেষ প্র্যাকটিস নির্দেশনাও জারি করে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। তার মধ্যে আপিল বিভাগ পরিচালনার জন্য্ ১৩ দফা, হাইকোর্ট পরিচালনার জন্য ১৫ দফা ও অধস্তন আদালত পরিচালনার জন্য ২১ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়।

 

এই ‘প্র্যাকটিস নির্দেশনা’র আলোকেই ১১ মে থেকে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশের অধস্তন ও ১২ মে থেকে উচ্চ আদালতে বিচারকাজ শুরু হয়।