জাফলংয়ে ফটোগ্রাফার উজ্জল খুন, ৩ ঘন্টার মধ্যে গ্রেপ্তার ৪
চেম্বার ডেস্ক:: সিলেটের পর্যটন কেন্দ্র জাফলংয়ে ফটোগ্রাফার কিশোর উজ্জল খুনের ঘটনার তিন ঘন্টার মধ্যেই মূল অভিযুক্ত পর্যটকবেশী দুই ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হল, সুনামগঞ্জ জেলার দক্ষিন সুনামগঞ্জ থানার ধরমপুর (শান্তিগঞ্জ) গ্রামের সৈয়দ নুর এর ছেলে এহসান (১৯) ও একই গ্রামের সুরুজ মিয়ার ছেলে খসরু মিয়া (১ঌ)। পাশাপাশি ঘটনার সহায়তাকারী হিসেবে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা হলো সিলেটের বিয়ানীবাজার থানার নোয়াবাড়ি গ্রামের নুর মিয়ার ছেলে রায়হান আহমদ (২২) ও একই থানার খাসির সড়ক ভাগনী এলাকার আলী নুরের ছেলে অলিউর রহমান (১৯)। রোববার দুপুর ২ টায় সময় জাফলং জিরো পয়েন্ট থেকে গ্রেপ্তারকৃত এহসান ও সুরুজ ছবি তুলার চুক্তি করে ফটোগ্রাফার উজ্জলকে পার্শ্ববর্তী মায়াবী ঝর্না নামক স্থানে নিয়ে যায়। পরে আনুমানিক দুপুর আড়াই টার সময় সুযোগ বুঝে উজ্জলকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে তার ডিএসএলআর ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন ছিনতাই করে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় উজ্জলকে উদ্ধার করে জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করে। মর্মান্তিক এ ঘটনার সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম ঘটনায় জড়িত আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য নির্দেশ দেন।
পুলিশ সুপারের নির্দেশে গোয়াইনঘাট থানার ওসি আব্দুল আহাদের নেতৃত্বে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের একাদিক টিম জাফলং এলাকায় আসামী গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করে। এরই ধারাবাহিকতায় সন্ধ্যা সাড়ে ছয় ঘটিকার সময় জাফলং-তামাবিল সড়কের গুচ্ছ গ্রাম এলাকা থেকে ট্রাকে করে পালানো অবস্থায় আসামী এহসান ও সুরুজ মিয়াকে গ্রেপ্তার করে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ। পাশাপাশি ঘটনার সহায়তাকারী হিসেবে ট্রাক চালক ও হেলপার রায়হান এবং অলিউরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় আসামীদের হেফাজত থেকে ভিকটিমের ডিএসএলআর ক্যামেরা সহ মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম এর বরাত দিয়ে সিলেট জেলা পুলিশের সহকারী মিডিয়া অফিসার সাইফুল আলম জানান, জাফলংয়ে একজন ফটোগ্রাফারকে নৃশংসভাবে খুন করার অভিযোগে ঘটনার অল্প সময়ের মধ্যেই প্রধান অভিযুক্ত দুইজন সহ চারজন কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার সূষ্ট তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।