সরকারের এই অবস্থানকে পতনের অবস্থান হিসেবে উল্লেখ করে একটু জোরে ধাক্কা দিলেই এ সরকার পড়ে যাবে বলেও জানান তিনি।
শনিবার মওলানা ভাসানীর স্মরণে ভাসানী অনুসারী পরিষদ, ছাত্র-যুব-শ্রমিক অধিকার পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলন ও রাষ্ট্রচিন্তার যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি একথাগুলো বলেন।
তিনি বলেন, আজকে সরকার দেউলিয়া হয়ে গেছে। কীভাবে হয়েছে সেটা আপনারা পত্রপত্রিকায় দেখেছেন। যাদের নিয়ে সরকার দেশ চালায় শত হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে। এটা পত্রপত্রিকার কথা নয়, এটা সরকারি মন্ত্রীর কথা। আমলারা তো লুট করবেই। কারণ, তারা রাতের আঁধারে জনগণের ভোট লুণ্ঠন করে এই সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছে। তাই তাদের ব্যাপারে কখনও কথা হবে না।
জাফরুল্লাহ আরও বলেন, বাংলাদেশ যখন আগুনে জ্বলছে তখন আমাদের প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তানি পোশাকে মাছ ধরে বেড়ান। তার পাশে তো পাকিস্তানের লোকজনই আছে। তার আত্মীয়-স্বজন এখনও পাকিস্তানে ব্যবসা-বাণিজ্য করে। একটা কথা আপনাদের মনে আছে রোম যখন পুড়ছিল সম্রাট নিরো তখন বাঁশি বাজাচ্ছিল। আমাদের প্রধানমন্ত্রী এখন তা করছেন। তিনি ইসলাম ফোবিয়া করে আমাদের দৃষ্টি বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করছেন।
মওলানা ভাসানী ও মহান মুক্তিযুদ্ধের কথা স্মরণ করিয়ে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল একটা স্বাধীন সার্বভৌম জনকল্যাণকর রাষ্ট্র। আজকে আপনার এই সংগ্রাম যদি অব্যাহত থাকে বাংলাদেশের ওষুধের মূল্য ১৫ দিনের মধ্যে অর্ধেক হবে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থা আপনাদের বাড়ির কাছে পৌঁছবে। সবার কর্মসংস্থান হবে। জনগণের কাছে সরকার দিতে হবে। এককেন্দ্রিক সরকার কখনও মুক্তি আনতে পারে না। তবে তার জন্য আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে। মওলানা ভাসানীর সেই বাণী যতদিন পর্যন্ত সব মানুষের কাছে খাদ্য পৌঁছাবে না ততদিন পর্যন্ত আমরা থামব না। সবাইকে না খাইতে দিয়ে আমরা খেতে দিতে পারি না। কিছু লোক খাবে বাকিরা খাবে না, তা হবে না। আজকে শ্রমিকের কী অবস্থা দেখেছেন?
সমাবেশে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর, আহ্বায়ক রাশেদ খান, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী, বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মো. আতাউল্লাহ, শ্রমিক অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক আব্দুর রহমান, ভাসানী অনুসারী পরিষদের বীর মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীরসহ অনেকে।