‘আমি পঙ্গু হয়ে বাঁচতে চাই না’ লিখে এমসি কলেজের ছাত্রীর আত্মহত্যা
চেম্বার ডেস্ক:: সিলেটের এমসি কলেজের এক ছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত গভীর রাতে নগরীর শিবগঞ্জ এলাকায়।
আত্মহত্যাকারী ওই শিক্ষার্থীর নাম মৌমিতা দাস পপি (২৬)। তিনি এমসি কলেজের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ছিলেন। মৌমিতা বালাগঞ্জ উপজেলার কায়স্থঘাট গ্রামের রাজকুমার দাসের মেয়ে। তিনি নগরীর শিবগঞ্জের হাতিমবাগ এলাকার ১ নম্বর রোডের ৪ নম্বর বাসায় পরিবারের সঙ্গে বসবাস করতেন।
জানা গেছে, শনিবার রাত সাড়ে ১২টায় মা-বাবার সাথে রাতের খাবার খেয়ে নিজের কক্ষে ঘুমাতে যায় পপি। আজ রোববার সকালে বাবা-মা ঘুম থেকে উঠে পপিকে তার শয়নকক্ষের ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। এরপর পরিবারের লোকজন শাহপরাণ থানাকে বিষয়টি অবগত করলে দুপুর আড়াইটায় এসআই লিপটনের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
মৌমিতার মা-বাবা পুলিশকে জানিয়েছেন, তাদের মেয়ে অসুস্থ ছিলেন। কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করলেন তা তারা জানেন না।
মৌমিতার চাচাতো ভাই রানা দাস জানান, বেশ কয়েকবছর ধরেই মৌমিতা দাস পপি শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। গত ১৫ দিন আগে ঘুমের মধ্যে স্ট্রোক করেন তিনি। পরে কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর সপ্তাহখানেক আগে তাকে নগরীর ধোপাদিঘীরপার এলাকায় মায়া ফার্মেসিতে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানকার চিকিৎসক তার মা-বাবাকে জানান, মৌমিতার হাত-পা অবশ হতে শুরু করেছে এবং পরবর্তীতে প্যারালাইসিস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ কথা শুনে ফেলেন মৌমিতা। এরপর থেকেই বিষন্নতায় ভুগতে শুরু করেন তিনি। আত্মহত্যার পর তার কক্ষ থেকে একটি চিঠি উদ্ধার করা হয়েছে। সেই চিঠিতে লেখা ছিল- ‘আমি পঙ্গু হয়ে বাঁচতে চাই না।’
এ ব্যাপারে শাহপরাণ থানার ওসি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, ঘটনার খবর পাওয়ার সাথে সাথে পুলিশ বাসা থেকে লাশ উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেলের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়। মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।