সর্বশেষ

» ‘গোল্ডেন মনিরের’ বাড়ি থেকে অস্ত্র-মদ-স্বর্ণ ও কোটি টাকা উদ্ধার

প্রকাশিত: ২১. নভেম্বর. ২০২০ | শনিবার

চেম্বার ডেস্ক:: রাজধানীর মেরুল বাড্ডা এলাকায় স্বর্ণ চোরাকারবারি ‘গোল্ডেন মনিরের’ বাসায় অভিযান চালিয়ে বিদেশি পিস্তল, কয়েক রাউন্ড গুলি, মদ, ৬০০ ভরি স্বর্ণ (৮ কেজি), ১০টি দেশের মুদ্রা ও ১ কোটি ৯ লাখ টাকা জব্দ করেছে র‌্যাব।

অভিযান শেষে শনিবার (২১ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় র‌্যাপিড অ্যাকশান ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ এসব তথ্য জানিয়েছেন।

 

আশিক বিল্লাহ বলেন, বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ অবৈধপথে বিদেশ থেকে বাংলাদেশে নিয়ে এসেছেন গোল্ডেন মনির। আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে তার স্বর্ণ চোরাকারবারের রুট ছিল ঢাকা-সিঙ্গাপুর-ভারত। এসবই তিনি করেছেন ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে। যেখানে তার নাম হয়ে যায় গোল্ডেন মনির।

অভিযান সম্পর্কে আশিক বিল্লাহ বলেন, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-৩ এর একটি দল শুক্রবার দিবাগত রাত ১১টায় মেরুল বাড্ডা ডিআইটি প্রজেক্ট এলাকায় অবস্থান নেয়। অভিযানের মূল কারণ ছিল অবৈধ অস্ত্র ও মাদক। মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরকে গ্রেফতারের পর তার হেফাজত থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, এক রাউন্ড গুলি, বিদেশি মদ এবং প্রায় ৯ লাখ টাকার বৈদেশিক মুদ্রা পাওয়া যায়। তার বাসা থেকে আট কেজি স্বর্ণ ও নগদ ১ কোটি ৯ লাখ টাকা নগদ জব্দ করা হয়েছে।

গোল্ডেন মনির ওরফে মো. মনির হোসেন সম্পর্কে তথ্য তুলে ধরে লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, তিনি মূলত একজন হুন্ডি ব্যবসায়ী, স্বর্ণ চোরাকারবারি এবং ভূমির দালাল। তার একটি অটোকার সিলেকশন শোরুম আছে। পাশাপাশি রাজধানীর গাউছিয়ায় একটি স্বর্ণের দোকানের সাথে তার সম্পৃক্ততা রয়েছে। আমরা তা বাসা থেকে অনুমোদনবিহীন বিলাসবহুল দুটি বিদেশি গাড়ি জব্দ করেছি, যার প্রত্যেকটি দাম প্রায় তিন কোটি টাকা। এর পাশাপাশি কার সিলেকশন শোরুম থেকেও আমরা তিনটি বিলাসবহুল অনুমোদনবিহীন গাড়ি আমরা জব্দ করেছি।

আশিক বিল্লাহ বলেন, গ্রেফতারকৃত মনির ১৯৯০-এর দশকে রাজধানীর গাউছিয়ায় একটি কাপড়ের দোকানের কর্মচারী ছিলেন। সেটা ছেড়ে দিয়ে তিনি ক্রোকারিজের ব্যবসা শুরু করেন। এর পর লাগেজ ব্যবসা অর্থাৎ ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে তিনি বিভিন্ন মালামাল দেশে আনতেন। একপর‌্যায়ে তিনি স্বর্ণ চোরাকারবারি নিজেকে জড়িয়ে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ অবৈধপথে বিদেশ থেকে বাংলাদেশে আনেন। যেখানে তার নাম হয়ে যায় গোল্ডেন মনির। স্বর্ণ চোরাকারবারে জড়ানোয় ২০০৭ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের হয়।

image_print
           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

January 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031