মার্চ-এপিলে দেশব্যাপী দলীয় প্রতীকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন
চেম্বার ডেস্ক:: আগামী মার্চ-এপ্রিল থেকে হতে পারে দেশব্যাপী ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ নির্বাচন। এবারও ধাপে ধাপে এ ভোট করার চিন্তা করছে নির্বাচন কমিশন। ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে ইসি এই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে পারে। দলীয় প্রতীকে ব্যালট পেপারের পাশাপাশি সক্ষমতা অনুযায়ী ইউপিগুলোতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন-ইভিএম এ করার পরিকল্পনাও রয়েছে কমিশনের।
বর্তমানে দেশে ৪ হাজার ৫৭১টি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে। ২০১৬ সালের ২২ মার্চ শুরু হয়ে ৬ ধাপে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন শেষ হয় ঐ বছরের ৪ জুন। আইন অনুযায়ী, কোনো ইউনিয়ন পরিষদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্ববর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে।
নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন শাখা জানিয়েছে, ২১ মার্চের মধ্যে ৭৫২ ইউপি, ৩০ মার্চের মধ্যে ৭১০, ২২ এপ্রিলের মধ্যে ৭১১, ৬ মের মধ্যে ৭২৮, ২৭ মের মধ্যে ৭১৪ এবং ৩ জুনের মধ্যে ৬৬০টি ইউপির মেয়াদ শেষ হবে। স্থানীয় সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও বড় পরিধির ইউপির পরিষদ নির্বাচন আয়োজনে ইতিমধ্যে প্রাথমিক প্রস্তুতিও শুরু করেছে কমিশন। ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে যার তফশিল ঘোষণা হতে পারে। যখন যে ইউপির মেয়াদ শেষ হবে, তখন সেই ইউপিতে ভোট হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বছর জুড়েই চলবে এই নির্বাচন।
নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম জানান, ধাপে ধাপেই ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের পরিকল্পনা আছে। নির্দিষ্ট সময় সীমার মধ্যে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে ভোট নেয়া হবে।
ইউপি নির্বাচনের আগে এ বছরের ডিসেম্বরের শেষে দেশের পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠানেরও প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, পৌর সভার মত ইউপি নির্বাচনেও ইভিএম ব্যবহারের পরিকল্পনা আছে বলেও জানান তিনি।
কবিতা খানম আরও জানান, ইভিএমের মাধ্যমেই ইউপি নির্বাচনের পরিকল্পনা আছে। তবে সে দিক থেকে ইভিএমের সক্ষমতাটুকুও বিবেচনা করা হবে।
গতবারের মতো আসন্ন ইউপির নির্বাচন হবে দলীয় প্রতীকে, যেখানে চেয়ারম্যান বা মেম্বার প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা বাধ্যতামূলক নয়।