কোম্পানীগঞ্জে জাল সনদে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা উত্তোলনের অভিযোগ
কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি::
কোম্পানীগঞ্জে ভুয়া মুক্তিবার্তা সনদে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা উত্তোলনের অভিযোগ ওঠেছে জনৈক মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিকে মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছে। রোববার দুপুরে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার জালিয়ারপাড় গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের পুত্র আব্দুল কাদিরকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা অভিহিত করে মুক্তিযোদ্ধামন্ত্রী বরাবর লিখিত আবেদন করেন উপজেলার মুক্তিযোদ্ধারা। তবে অভিযুক্ত ব্যক্তি তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রেরিত আবেদনে উল্লেখ করা হয়, আব্দুল কাদির ১৯৭১ সালে কোম্পানীগঞ্জের বাসিন্দা ছিলেন না। তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন বলে কোম্পানীগঞ্জের কোন মুক্তিযোদ্ধার জানা নেই। ১৯৯৮ সালে জালিয়াতির মাধ্যমে মুক্তিবার্তায় নাম উঠান এবং ২০১৩ সালে টাকার বিনিময়ে গেজেট তালিকায় জায়গা করে নেন তিনি। এরপর বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে যুদ্ধাহত ভাতা ও রেশন উত্তোলন করে আসছেন।
আবেদনে আরও বলা হয়, মুক্তিযোদ্ধা হিরা মিয়া কর্তৃক দায়েরকৃত অভিযোগের শুনানিকালে কোম্পানীগঞ্জের কোন মুক্তিযোদ্ধাকে স্বাক্ষী হিসেবে হাজির করতে পারেননি অভিযুক্ত আব্দুল কাদির। তাছাড়া ২০১৭ সালের ১৮ জানুয়ারি উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ের সময়ও তিনি নিজেকে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে প্রমাণ করতে পারেননি।
এর আগে মুক্তিযোদ্ধারা উপজেলা পরিষদ চত্বরে আব্দুল কাদিরকে মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে বাদ দেয়ার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদ- কোম্পানীগঞ্জের আহবায়ক মতিলাল মোহন্ত এর সভাপতিত্বে এবং মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন মোল্লার পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার শফি উদ্দিন রেনু, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হাজী মোঃ চাঁন মিয়া, সাবেক সহকারী কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা কছির মিয়া, মুক্তিযোদ্ধা আউয়াল মিয়া, সাবেক ইউপি ডেপুটি কমান্ডার আলী হোসেন, সাবেক সহকারী কমান্ডার সুরুজ আলী ও যোদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা হিরা মিয়া।