সর্বশেষ

» বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করতে নোটিশ

প্রকাশিত: ০১. নভেম্বর. ২০২০ | রবিবার

চেম্বার ডেস্ক:: বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করে আইনের সংশোধনী চেয়ে সংশ্লিষ্টদের একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ ল কমিশনের চেয়ারম্যান, ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কমিশন অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান, মহিলা ও শিশু বিষয়ক অধিদফতরের ডিজি এবং সমাজসেবা অধিদফতরের ডিজিকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

 

দেশে আইনের স্বচ্ছতা ও সার্বজনীনতা নিশ্চিতের লক্ষ্যে আজ রবিবার (১ নভেম্বর) একাত্তর টিভির এক নারী সাংবাদিকের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জাহিদ চৌধুরী জনি নোটিশটি পাঠিয়েছেন।

নোটিশে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের প্রচলিত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং দণ্ডবিধির কোথাও বৈবাহিক জীবনে স্বামী কর্তৃক ধর্ষিত হলে কোনো আইনি পদক্ষেপ নারীরা নিতে পারেন না। এ ছাড়া সামাজিক বিবেচনায় ওই নারী কখনও এ বিষয়টা নিয়ে জনসম্মুখে আসতেও পারেন না। অথচ গবেষণায় এসেছে, এ বছর ৬৪ জেলার মধ্যে ২৭ জেলাতেই বৈবাহিক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।

জাতিসংঘ হিউম্যান রাইটস কমিশন ১৯৯৩ সালে বৈবাহিক ধর্ষণ অর্থাৎ ম্যারিটাল রেপকে মানবাধিকার লঙ্ঘন হিসেবে উল্লেখ করেছে। এ পর্যন্ত প্রায় ১৫০টি দেশের বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করে আইন রয়েছে। কিন্তু একবিংশ শতাব্দীতে এসেও বাংলাদেশে বৈবাহিক ধর্ষণ সংক্রান্ত বিষয়ে কোনো আইনি বা শাস্তির বিধান রাখা হয়নি।

নোটিশে আরও বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী বৈবাহিক সম্পর্ক নেই এমন কোনও ব্যক্তি ধর্ষণ করলে তার শাস্তির বিধান রয়েছে। অথচ পারিবারিক নির্যাতনের মাধ্যমেও যে নারীরা ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন তাদের জন্য আইনের সুরক্ষা নিশ্চিতে আইন সংশোধন এখন সময়ের দাবি।

তাই নোটিশ পাওয়ার ৭ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছে। অন্যথায় প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

image_print
           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

January 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031