যৌতুক না দেওয়ায় পা ভেঙ্গে দিতে চেয়েছিল শ্বশুরবাড়ির লোকজন

কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি:

দেড় লক্ষ টাকা যৌতুক না দেওয়ায় তানিয়া আক্তারের পা ভেঙ্গে দিতে চেয়েছিল শ্বশুরবাড়ি লোকজন। শুধু তাই নয় নির্যাতনের ২ দিন পরও ঘরের ভেতর আটকিয়ে রেখেছিল স্বামী, দেবর ও শ্বাশুড়ি। সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চাতলপাড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। তানিয়া আক্তার একই উপজেলার খায়েরগাঁও গ্রামের ওয়াজ উদ্দিনের মেয়ে। এ বিষয়ে তানিয়া আক্তার(২৩) বাদী হয়ে স্বামী অদুদ মিয়া, দেবর আব্দুল হাকিম ও শ্বাশুড়ি অজুফা বেগমকে আসামি করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং-২৪। মামলা দায়েরের সাথে সাথে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে স্বামী অদুদ মিয়া ও দেবর আব্দুল হাকিমকে গ্রেফতার করে।

 

মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, গত ২২ অক্টোবর শ্বশুরবাড়ির লোকজন দেড় লক্ষ টাকা যৌতুকের জন্য চাপ দেয় তানিয়া আক্তারকে। এ সময় সে বাপের বাড়ি থেকে যৌতুক আনতে অস্বীকৃতি জানালে রাত সাড়ে ১১টায় তানিয়া আক্তারের স্বামী অদুদ মিয়া, দেবর আব্দুল হাকিম ও শ্বাশুড়ি অজুফা বেগম ঘরে আটকে রেখে অমানবিক নির্যাতন করে। পরে ২৪ তারিখ তানিয়ার বাবা ও ভাই খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে কোম্পানীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। বর্তমানে তাকে সেখানে রেখেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

 

তানিয়া আক্তার জানায়, দীর্ঘদিন থেকে স্বামী, দেবর ও শ্বাশুড়ি তাকে শারীরিক নির্যাতন করে আসছে। কিছু দিন পূর্বে সে ৫০ হাজার টাকা যৌতুক হিসেবে বাপের বাড়ি থেকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে দেয়। পুনরায় আবার যৌতুক দাবী করলে সে যৌতুক আনতে অস্বীকৃতি জানালে স্বামী, দেবর ও শ্বাশুড়ি মিলে তাকে এই নির্যাতন করে।

 

কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি কেএম নজরুল জানান, মামলা পাওয়ার সাথে সাথেই আমরা অভিযান চালিয়ে ২ জন আসামিকে আটক করতে সক্ষমহই। অন্য আসামিকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আটককৃতদেরকে ২৯ অক্টোবর আদালতের মাধ্যমে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।