ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী ৩ দিনের রিমান্ডে

চেম্বার ডেস্ক:: নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধর ও হত্যার হুমকির মামলায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) হাজী সেলিমের ছেলে মোহাম্মদ ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী মোহাম্মদ জাহিদের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

 

আজ বুধবার (২৮ অক্টোবর) ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নুর শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধর ও হত্যার হুমকির ঘটনায় ধানমন্ডি থানায় করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের গ্রেফতার দেখানো-পূর্বক সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক (নিরস্ত্র) আশফাক রাজীব হায়দার। ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নুর এ বিষয় শুনানির জন্য বুধবার দিন ধার্য করেন।

 

গত রবিবার (২৫ অক্টোবর) রাতে সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিমের ‘সংসদ সদস্য’ লেখা সরকারি গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহমদ খানকে মারধর করা হয়। রাজধানীর কলাবাগান সিগন্যালের পাশে এ ঘটনা ঘটে।

 

রবিবার রাতে এ ঘটনায় জিডি হলেও সোমবার ভোরে এরফান সেলিম, তার দেহরক্ষী মো. জাহিদ, এ বি সিদ্দিক দিপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাত ২-৩ জনকে আসামি করে ওয়াসিফ আহমদ খান বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা করেন।

 

এ মামলায় সোমবার দুপুরে ইরফানকে গ্রেফতার করে র্যাব। এ ছাড়া পুরান ঢাকায় তার বাসায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ৩৮টি ওয়াকিটকি, পাঁচটি ভিপিএস সেট, অস্ত্রসহ একটি পিস্তল, একটি একনলা বন্দুক, একটি ব্রিফকেস, একটি হ্যান্ডকাফ, একটি ড্রোন এবং সাত বোতল বিদেশি মদ ও বিয়ার উদ্ধার করা হয়।

 

বাসায় বিদেশি মদ ও অনুমোদনহীন ওয়াকিটকি রাখায় কাউন্সিলর ইরফান সেলিম ও তার বডিগার্ড মোহাম্মদ জাহিদকে এক বছর করে জেল দেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। রাতেই তাদের কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।