সর্বশেষ

» এক নজরে ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের বর্ণাঢ্য জীবন

প্রকাশিত: ২৪. অক্টোবর. ২০২০ | শনিবার

চেম্বার ডেস্ক:: সুপ্রিমকোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার রফিক-উল হক শুধু প্রতিথযশা আইনজীবীই ছিলেন না, সমাজসেবক হয়ে দেশের নানা সংকটে ভূমিকা রেখেছেন তিনি।

 

রফিক-উল হকের জন্ম ১৯৩৫ সালের ২ নভেম্বর কলকাতায়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেয়ার পর তিনি এলএলবি ডিগ্রি করেন।

 

তিনি ১৯৬০ সালে কলকাতা উচ্চ আদালতে আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেন। পরে বার অ্যাট ল করেন যুক্তরাজ্য থেকে।

 

ব্যারিস্টার রফিক ১৯৬২ সালে ঢাকার উচ্চ আদালতে যোগ দেন। ১৯৭৫ সালে তিনি আপিল বিভাগে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী হিসাবে তালিকাভুক্ত হন।

 

১৯৯০ সালে বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল করা হয়েছিল তাকে।

 

সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ অনেক রাজনীতিবিদের পক্ষে সুপ্রিমকোর্টে আইনি লড়াই করে আলোচনায় ছিলেন ব্যারিস্টার রফিক।

 

আইন পেশায় সফলতা হিসেবে অনেক অর্থ উপার্জন করেছেন প্রবীণ এই আইনজীবী; যার বড় অংশই খরচ করেছেন সমাজসেবায় ও মানুষের কল্যাণে। প্রতিষ্ঠা করেছেন বেশ কয়েকটি হাসপাতাল, এতিমখানা, মসজিদ ও মেডিকেল কলেজ।

 

নিজে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়েছিলেন ১৯৮৬ সালে। তাই গরিব মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় প্রবল টান ছিল ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের।

 

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে এখন একটি ১০০ শয্যার হাসপাতাল নির্মাণ হচ্ছে। এ ছাড়া ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠা করেছেন সুবর্ণ ক্লিনিক। ঢাকা শিশু হাসপাতাল প্রতিষ্ঠায়ও ভূমিকা ছিল এই আইনজীবীর।

 

বারডেম হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ ও নূরজাহান ওয়ার্ড, আহছানিয়া মিশন ক্যানসার হাসপাতাল এবং আদ-দ্বীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চেয়ারম্যান রফিক-উল হক। অন্তত ২৫টিরও বেশি সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তিনি সরাসরি জড়িত ছিলেন।

 

বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের অধিকারী রফিক-উল হক শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর আদ-দ্বীন হাসপাতালে মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।

 

বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে আদ-দ্বীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন রফিক-উল হক।

 

রফিক-উল হকের স্ত্রী ফরিদা হক বেশ কয়েক বছর আগে মারা যান। তার ছেলে ফাহিম-উল হকও আইনজীবী।

image_print
           

সর্বশেষ

আর্কাইভ

January 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031