প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পদত্যাগের দাবিতে উত্তাল পাকিস্তান
চেম্বার ডেস্ক:: প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পদত্যাগের দাবিতে উত্তাল পাকিস্তান। রোববার করাচি শহরে প্রধান বিরোধী দলগুলোর ১০ হাজারের বেশি নেতাকর্মী সমাবেশ করেছেন।
ইমরান সরকারের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী আন্দোলন শুরু করতে ১১টি প্রধান বিরোধী দল পাকিস্তান ডেমোক্র্যাটিক মুভমেন্ট (পিডিএম) নামে একটি জোট গঠন করেছে। এই জোটটি গত মাসের শেষের দিকে গঠন করা হয়।
সমাবেশে পাকিস্তান মুসলিম লীগ নেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের মেয়ে মরিয়ম নওয়াজ ইমরানের খানকে কটাক্ষ করেন এবং তার সরকারের ব্যর্থতা গোপন করতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি নষ্ট করার অভিযোগ করেন।
বিরোধীদের অভিযোগ, ২০১৮ সালে কারচুপির নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ইমরানকে ক্ষমতায় বসিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী।
সমাবেশে পাকিস্তান পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি, জেইউআই-এফ প্রধান মওলানা ফজলুর রহমান এবং পাকতুনখাওয়া মিল্লি আওয়ামী চেয়ারম্যান মেহমুদ আচাকজি বক্তব্য রাখেন।
বিলাওয়াল ভুট্টো বলেন, আবাসন কলোনি গড়ে তোলার জন্য খান একটি অবিশ্বাস্য প্যাকেজ ঘোষণা করে এবং দুটি দ্বীপ দখল করে করাচির জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন। এ সময় তিনি ক্ষমতাসীন দলের নীতিনির্ধারণী নিয়েও সমালোচনা করেন।
করাচির সমাবেশে ৬৩ বছর বয়সী ফকির বালুচ বলেন, মুদ্রাস্ফীতি দরিদ্র নাগরিকদের পিঠ ভেঙে দিয়েছে। তাদের অনেকেই এখন বাচ্চাদের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার জন্য ভিক্ষা করতে বাধ্য হচ্ছেন। তিনি বলেন, ইমরান খানের এখনই পদত্যাগ করা উচিৎ।
করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে সারাবিশ্বের মতো পাকিস্তানের অর্থনীতিতেও আঘাত হেনেছে। সেখানে মুদ্রাস্ফীতি দুই অঙ্কে পৌঁছে গেছে। প্রবৃদ্ধি পৌঁছেছে নেগেটিভে। এ জন্য ইমরান খানের সরকারকে দায়ী করছে বিরোধী দলগুলো।
ইমরান খান সরকারের ক্ষমতার মেয়াদ দুই বছর। এ সময়ে তিনি ভিন্ন মতাবলম্বী, সমালোচক ও বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক দমনপীড়ন চালিয়েছেন বলে অভিযোগ আছে।
পাকিস্তানে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা ২০২৩ সালে।
এদিকে বিক্ষোভের পর করাচি পুলিশ স্বামী ক্যাপ্টেন সাফদার আওয়ানকে গ্রেফতার করেছে বলে জানিয়েছেন নওয়াজ শরীফের মেয়ে মরিয়ম নওয়াজ।
সোমবার এক টুইটে তিনি জানান, তারা যেখানে ছিলেন, হোটেল রুমের দরজা ভেঙে পুলিশ তার স্বামীকে গ্রেফতার করে নিয়ে গেছে।
এর আগে শুক্রবার পাঞ্জাব প্রদেশের গুজরানওয়ালা স্টেডিয়ামের সমাবেশ থেকে বর্তমান সরকারকে উৎখাতের ডাক দেওয়া হয়। ইমরান খান ক্ষমতায় আসার পর এটাই ছিল তার বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ।