ঢাবিতে শিবির সন্দেহে আরো ৫ শিক্ষার্থীকে পুলিশে দিল ছাত্রলীগ
চেম্বার ডেস্ক: ছাত্রশিবির সন্দেহে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলের শিক্ষার্থীদের মারধর করে পুলিশে তুলে দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ। গতকাল রাতে বিজয়-৭১ হলে এ ঘটনা ঘটে। ৫ শিক্ষার্থীর মধ্যে একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তিনি মুহাম্মদ ফরীদুদ্দীন (২২)। তিনি সিলেট জেলার কানাইঘাট উপজেলার নয়াগাঁও ৩য় খন্ড গ্রামের শামসুদ্দিনের ছেলে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী। তাকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে পুলিশে তুলে দেওয়া হয়। পরে তাকে পুলিশ পূর্ব দায়েরকৃত মিথ্যা ভাঙচুর, অস্ত্র ও হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে জেলে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় মোঃ ফরিদ উদ্দিনসহ আরো ৪জন শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগ মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অবৈধ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা গ্রহণ করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এ নির্বাচনে ছাত্রলীগ প্রতিটি সেন্টারে জাল ভোটের মাধ্যমে গণতন্ত্রের কবর রচনা করে। তাদের ওই নৈরাজ্যের প্রতিবাদে ২০১৪ সালের ১৪ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিবেটিং ক্লাবের উদ্যোগে একটি বিতর্কের আয়োজন করা হয়। সেখানে অংশগ্রহণ করে মিথ্যা ও পাতানো প্রহসনের নির্বাচন ও জনগণের ভোটাধিকারের বিষয়ে কথা বলেন মোঃ ফরিদ উদ্দিন ও তার ওই চার বন্ধু। সেখানে ছাত্রলীগের কিছু কর্মী তাদের শিবির সন্দেহ করে। এরপর ওইদিন রাতে তাদের প্রত্যেকের রুম থেকে ডেকে নিয়ে ছাত্রলীগ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। শিবিরের সাথে সম্পৃক্ততার বিষয়ে তাদেরকে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। তারা বাধ্য হয়ে শিকার করলে তাদেরকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে প্রচুর মারধর করে এবং এক পর্যায়ে তারা অজ্ঞান হয়ে পড়েন। এরপর তারা তাদেরকে শাহবাগ থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পুলিশ ফরিদ উদ্দিনসহ অন্যদের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় পূর্ব দায়েররকৃত ভাঙচুর, অস্ত্র ও হত্যা মামলায় অভিযুক্ত করে জেলে পাঠিয়ে দেয়।
ছবি: (ফাইল ছবি)