কানাইঘাটে মাটি খনন করে বেড়িবাঁধ নির্মাণ || ক্ষতিগ্রস্ত রামপুর গ্রামের কয়েকটি পরিবার
কানাইঘাট প্রতিনিধিঃ কানাইঘাট উপজেলার দিঘীরপাড় পূর্ব, সাতবাঁক ইউনিয়ন ও পৌরসভার সুরমা নদীর পূর্ব তীরে কয়েক কোটি টাকা ব্যায়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে বেড়িবাঁধ এর কাজ চলমান রয়েছে। বেড়িবাঁধের কাজে ফেলুডার ও স্কেভেটর দ্বারা ফসলি জমি, গাছ-পালা, ঘর-বাড়ির ক্ষতি করা হলেও প্রতিকার পাচ্ছেন না এলাকার মানুষ।
সম্প্রতি বেড়িবাঁধের কাজ পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডে সুরমা নদীর তীরবর্তী এলাকার কাজ চলমান রয়েছে। ফেলুডার ও স্কেভেটর দিয়ে গভীর গর্ত করে সুরমা নদীর তীরবর্তী থেকে বালু-মাটি দিয়ে বেড়িবাঁধের কাজ করা হচ্ছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন মারাত্মক নদী ভাঙন কবলিত পৌরসভার রামপুর পশ্চিম গ্রামের পাশ দিয়ে বেড়িবাঁধের কাজ করা হচ্ছে। রামপুর গ্রাম প্রতি বছর সুরমা নদীর মারাত্মক ভাঙনের কারনে অনেকের বাড়ি-ঘর ইতিমধ্যে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
ভাঙন কবলিত এলাকা থেকে ফেলুডার ও স্কেভেটর দিয়ে গভীর গর্ত করে বালুমাটি নিয়ে বেড়িবাঁধের কাজ করায় রামপুর পশ্চিম গ্রামের কয়েকজন এর বাড়ি-ঘর অনেকটা ধ্বসে গেছে এবং বসত ঘরে ফাটল দেখা দেয়ায় গ্রামের নদীর তীরবর্তী লোকজনের মধ্যে বর্তমানে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। ভাঙন কবলিত এলাকা থেকে ফেলুডার ও স্কেভেটর দিয়ে গভীর গর্ত করে বেড়িবাঁধের কাজ না করার জন্য গ্রামের অনেকে বাঁধা প্রদান করলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে কাজ করে যাচ্ছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন। এর প্রতিকার চেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত রামপুর পশ্চিম গ্রামের মৃত মছদ্দর আলীর স্ত্রী হানুফা বেগম ও নুর আহমদের স্ত্রী নাজমা বেগম সম্প্রতি বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও তারা কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না বলে কান্নাজড়িত কন্ঠে জানিয়েছেন।
ভাঙন কবলিত স্থান থেকে গর্ত করে মাটি এনে বেড়িবাঁধের কাজ করায় ঘর-বাড়ি ধ্বসে যাওয়া সহ ফাটল দেখা দেয়ায় কয়েকটি পরিবার বাস্তুহারা ও প্রাণহানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর জাঙ্গীর আলম জাহান সহ অনেকে জানিয়েছেন। তারা দ্রæত বিষয়টি সরেজমিন তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড সহ স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি আহŸান জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কানাইঘাটের দায়িত্বে থাকা এস.এ শওকত এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে জানিয়েছেন।