সিলেট জেলা ছাত্রদল নেতা সোহেল আহমদের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক : সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার পূর্ব জাফলং ইউনিয়নে সাবেক ছাত্রদল নেতার বাড়িতে হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। গত ৬ নভেম্বর পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের নয়াবস্তি গ্রামের বাসিন্দা ও সাবেক ছাত্রদল নেতার খলিলুর রহমানের বাড়িতে হামলা লুটপাট করা হয়।
একই দিনে ওই এলাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ইনসান আলীর বাড়িতে হামলা ও লুটপাট করেছে দুর্বৃত্তরা। সিলেট জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল আহমদের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধা ইনসান আলী নিজে বাদি হয়ে গত ৬ নভেম্বর গোয়াইনঘাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন এবং সাবেক ছাত্রদল নেতার খলিলুর রহমানের মা খোদেজা বেগম বাদি হয়ে আরেকটি অভিযোগ দায়ের করেন। পরে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ অভিযোগটি তদন্ত করে খোদেজা বেগম এর মামলা রেকর্ডভূক্ত করেছে। গোয়াইনঘাট থানা (মামলা নং-১৩(১০)(১১(২০২৪)। উক্ত মামলার ৪ নং আসামি হলেন সিলেট জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল আহমদ। তিনি পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের নয়াবস্তি গ্রামের মকবুল মিয়ার ছেলে।
মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন, গোয়াইনঘাট থানাধীন নয়াবস্তি গ্রামের মকবুল মিয়ার ছেলে আজগর আলী, আকবর হোসেন, ইউসুফ আলী, জব্বার মিয়া, একই এলাকার মখর মিয়ার ছেলে ইউসুফ আলীর ছেলে হাসান মিয়া, হুসাইন মিয়া, সিরাজ মিয়ার ছেলে রহমত আলী, নলজুরির মুরশেদ আহমেদের ছেলে সুমন মিয়া সহ অজ্ঞাতনামা ২৫/৩০ জন দুর্বৃত্ত।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, দুর্বৃত্তরা দলবদ্ধক্রমে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সাবেক ছাত্রদল নেতা খলিলের বাড়িতে প্রবেশ করে পরিবারের সদস্যদের নাম ধরে অহেতুক অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। পরে খলিল এর প্রতিবাদ করেন। দুর্বৃত্তরা ক্ষীপ্ত হয়ে খলিলের উপর হামলা চালায়। এতে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিলাফুলা ছেচা জখম করে। পরে রক্ষা করার জন্য আমার পরিবারের সদস্যরা এগিয়ে আসলে তাদের উপর হামলা চালায় এবং নগদ টাকা স্বর্ণলঙ্কার নিয়ে যায়। হামলার মূল কারণ হচ্ছে তাদের বাড়ির সামনে নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু-পাথর করা হয়েছে। এসময় খলিলের পরিবারের সদস্যরা বাধা প্রদান করেন। পরে লুটপাটকারীরা ক্ষীপ্ত হয়ে একদল দুর্বৃত্তদের নিয়ে তাদের বাড়িতে হামলা-ভাংচুর শুরু করেন। এতে তাদের পরিবারের মহিলারাও আহত হয়েছেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা ইনসান আলী তিনি তাদের এই ন্যক্কারজনক হামলার প্রতিবাদ করেন। এই প্রতিবাদের জেরে দুর্বৃত্তরা মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা ইনসান আলীর মামলাটি আমলে নেয়নি থানা পুলিশ।
মুক্তিযোদ্ধা ইনসান আলী বলেন, আমার বাড়িতে হামলাকারীরা সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। যেকোন সময় আরও বড় ধরণের অঘটন ঘটাতে পারেন। তাই এদেরকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। এদের হামলার ভয়ে আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা বাড়ি ছাড়া