মৌ.বাজার থেকে ব্যবসায়ী নিখোঁজ
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি : মৌলভীবাজার সদর উপজেলা থেকে এক ব্যবসায়ী বিএনপি নেতা নিখোঁজের খবর পাওয়া গেছে। রবিবার (১০ মার্চ) রাতে জেলা শহরের দোকান থেকে বাসায় ফেরার পথে কুসুমবাগ এলাকা থেকে তিনি নিখোঁজ হন। তার নাম রুবেল মিয়া (৩৪)। তিনি সদর থানার নিমারাই গ্রামের মোবশ্বির মিয়ার পুত্র। নিখোঁজের ২ দিন পরও সন্ধান না পাওয়ায় উদ্বিগ্ন তার পরিবার। এ ব্যাপারে পরিবারের পক্ষ থেকে মৌলভীবাজার সদর থানায় জিডি করতে গেলেও পুলিশ জিডি গ্রহণ করেনি।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার নিমারাই গ্রামের মোবশ্বির মিয়া ও শরিফুল বেগম দম্পতির পুত্র রুবেল মিয়া ৪নং আপার কাগাবাল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। তিনি দীর্ঘদিন থেকে মৌলভীবাজার জেলা শহরে তানিশা মটরস এন্ড সিএনজি শো-রুম নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছেন। প্রতিদিনের মতো গত রবিবার (১০ মার্চ) রাত ৮টার দিকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাড়ীতে রওয়ানা দেন। তিনি বাড়ীতে আসছেন বিষয়টি পরিবারের সদস্যদেরকেও অবহিত করেন। কিন্তু কয়েকঘন্টা পরও বাড়ী না ফেরায় পরিবারের সন্দেহ হয়। তারা রুবেলের ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে কল দিলে সেটি বন্ধ পান। এরপর গভীর রাত পর্যন্ত বাড়ী না ফেরায় পরিবারের সদস্যগণ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। রুবেল মিয়ার খোঁজে পরিবারের সদস্যরা বেরিয়ে আসলে তাকে রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সর্বশেষ কুসুমবাগ এলাকায় দেখেছেন বলে একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে পরিবারের সদস্যরা রুবেলের খোঁজে তার আত্মীয় স্বজন, বন্ধু-বান্ধবসহ সম্ভাব্য সকল স্থানে যোগাযোগ করেন। কিন্তু কোথাও তার সন্ধান না পাওয়া গতকাল সোমবার (১১ই মার্চ রাতে) মৌলভীবাজার সদর থানায় যোগাযোগ করে একটি সাধারণ ডায়রি করতে গেলে পুলিশ সেটি গ্রহণ করেনি।
নিখোঁজ রুবেল মিয়ার বাবা মোবশ্বির মিয়া বলেন, আমার ছেলে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত থাকার পাশাপাশি একজন সফল ব্যবসায়ী। রাজনগর উপজেলার উত্তর মহল্লা গ্রামের রানা মিয়ার বোন স্বপ্না বেগমের সাথে আমার ছেলে আল আমিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল, এরই সুবাদে তারা সম্প্রতি দুজন পালিয়ে বিয়ে করে ফেলে। বিষয়টি স্বপ্নার পরিবার মেনে নিতে পারেনি। তার ভাই রানা সরকারদলীয় রাজনীতির সাথে জড়িত এবং এলাকায় প্রভাবশালী। এই কারণে আমার ছেলের নিখোঁজের সাথে রানার হাত থাকতে পারে।
তিনি বলেন, হঠাৎ করে তার নিখোঁজ হওয়ায় আমরা উদ্বিগ্ন। কারণ এই সরকারের আমলে বিরোধী দলের অনেক নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে। আমার ছেলে কোন অপরাধ করলে তাকে গ্রেফতার করুন আদালতে বিচার করুন। এরপরও তাকে দ্রুত জনসম্মূখে হাজির করার জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবী জানান তিনি।
এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার সদর থানার ওসি কে এম নজরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজী হননি।