কানাইঘাটে চাচাতো ভাইয়ের হাতে ষাটোর্ধ বৃদ্ধ খুন, মূল অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

চেম্বার ডেস্ক: কানাইঘাট(সিলেট) প্রতিনিধি: কানাইঘাট উপজেলায় ৭ নং দক্ষিণ বাণীগ্রাম ইউনিয়নের ধলিবিল দক্ষিণ নয়াগাঁউ গ্রামের সুলতানের হাতে নির্মমভাবে নিহত হন তারই আপন চাচাতো বড় ভাই ফয়জুল হুসেন উরফে হুসন আহমদ।

শুক্রবার(৮ নভেম্বর) সকাল ৮ ঘটিকার দিকে নিজ বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, উপজেলার নয়াগাঁউ নিবাসী আব্দুল জলিল জলই এর ছেলে সুলতান আহমদ তার আপন বড় চাচাতো ভাই আব্দুল লতিফ লতই এর ছেলে ফয়জুল হুসেন উরফে হুসন আহমদ এর সাথে প্রায়ই ঝগড়াঝাঁটি করতো। সম্পত্তির কোন দাবিদাওয়া না থাকলে প্রায়ই সম্পত্তি পাওয়ার কথা বলে গালিগালাজ করতো,দরবার করতো।

এরই প্রেক্ষিতে আজ শুক্রবার ফজরের পরে সুলতান কথা কাটাকাটিতে লিপ্ত হয় হুসন আহমদের সাথে। সুলতান তার চাচাতো ভাইকে গালিগালাজ করে। অশ্রাব্য ও অশ্লীল গালিগালাজের কারণে হুসন আহমদ লজ্জায় থেমে যান। তখন পেছন দিক থেকে এসে ধারালো দা দিয়ে গলায়,হাতে কোপ মারে।
তখন মুহুর্তেই মাঠিতে লুটে পড়েন হুসন আহমদ। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। তখন আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে নির্ভয়ে সে খুন করার কথা স্বীকার করে ও সুলতানকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়া হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে সুলতানকে আটক করে এবং লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়।

পুলিশের কাছে সুলতান প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে যে, সে খুন করেছে ফয়জুল হুসনকে । ফয়জুল হোসেন স্থানীয় একটি মসজিদের মুতাওয়াল্লী ছিলেন বলে জানা গেছে।

হুসন আহমদ হত্যার খবর পেয়ে বাড়ীতে গিয়ে দেখা যায় হৃদয় বিদারক দৃশ্য। সন্তানদের আহাজারিতে আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠে৷
নিহতের বড় মেয়ে চিৎকার করে জানান, আমার বাবার খুনির একমাত্র ফাঁসি চাই।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান লোকমান আহমদ বলেন, সুলতান খারাপ প্রকৃতির ছিল। সে প্রায় সময় মাদকগ্রহন করতো বলে জেনেছি। আমি তার সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।
কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আউয়াল বলেন, হুসন আহমদের খুনি সুলতানকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।