ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ : রিমান্ড শেষে আরও ৩ আসামি আদালতে

চেম্বার ডেস্ক:: সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গৃহবধূকে গণধর্ষণের মামলায় গ্রেফতার আরও ৩ আসামিকে রিমান্ড শেষে আদালতে নেয়া হয়েছে।

আজ শনিবার (৩ অক্টোবর) বেলা ১টার দিকে তাদের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমানের আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহপরান (র.) থানার পুলিশ পরিদর্শক ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য্য।

 

আসামিরা হলেন- মামলার এজাহারভুক্ত আসামি শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি, অজ্ঞাতনামা আসামিদের মধ্যে গ্রেফতার হওয়া মো. রাজন ও আইনুদ্দিন।

সিলেট নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) জ্যোতির্ময় সরকার বলেন, গত মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) তাদের ৩ জনকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে সৌপর্দ করা হয়েছে। আসামি তিনজনেরই আদালতে স্বীকারোক্তি দেওয়ার কথা রয়েছে।

এর আগে শুক্রবার রাতে মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমান, ৪ নম্বর আসামি অর্জুন লস্কর এবং ৫ নম্বর আসামি রবিউল ইসলাম ওই তরুণীকে গণধর্ষণে নিজেদের জড়িত থাকার ব্যাপারে আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।

শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে এক গৃহবধূকে ছাত্রলীগের ছয়জন নেতাকর্মী গণধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই দম্পতিকে ছাত্রাবাস থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ধর্ষণের শিকার তরুণীকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি সেন্টারে ভর্তি করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, দক্ষিণ সুরমার নবদম্পতি শুক্রবার বিকেলে প্রাইভেটকারযোগে এমসি কলেজে বেড়াতে যান। বিকেলে এমসি কলেজ ছাত্রলীগের ছয়জন নেতাকর্মী স্বামী-স্ত্রীকে ধরে ছাত্রাবাসে নিয়ে প্রথমে মারধর করেন। পরে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণ করেন। ছাত্রলীগ নেতাদের প্রত্যেকেই ছাত্রাবাসে থাকেন। তারা টিলাগড়কেন্দ্রিক আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট রনজিত সরকার গ্রুপের অনুসারী।

এ ঘটনায় শনিবার ভোরে ছয়জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২-৩ জনকে অভিযুক্ত করে নগরের শাহপরান থানায় মামলা দায়ের করেন ধর্ষিতার স্বামী। মামলার এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন- সাইফুর রহমান (২৮), তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক আহমদ (২৮), শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি (২৫), অর্জুন লস্কর (২৫), রবিউল ইসলাম (২৫) ও মাহফুজুর রহমান মাসুম (২৫)।

এছাড়া ঘটনার পর অভিযানে নেমে সাইফুরের কক্ষ থেকে অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় আলাদা আরেকটি মামলা দায়ের করেন শাহপরান (র.) থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিল্টন সরকার। ছাত্রলীগ ক্যাডার সাইফুর রহমানকে আসামি করে মামলা করেন তিনি।