বিয়ানীবাজার থানার এসআই আসাদুর রহমানের বিরুদ্ধে প্রবাসীর স্ত্রীর অভিযোগ
চেম্বার ডেস্ক: বিয়ানীবাজার থানার এসআই আসাদুর রহমানের বিরুদ্ধে নানা হয়রানীর অভিযোগ করে সিলেট পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অভিযোগ দাখিল করেছেন শাহানা আক্তার সুমী (২৯) নামের এক প্রবাসীর স্ত্রী। বিয়ানীবাজার থানাধীন সুপাতলা গ্রামের বাসিন্দা প্রবাসী বাবুল হোসেনের স্ত্রী তিনি।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শাহানা আক্তার সুমীর স্বামী বাবুল হোসেন ও দেবর লালু হোসেন দীর্ঘদিন থেকে প্রবাসে রয়েছেন। সুমী দেবর লালু হোসেনের স্ত্রী মাজেদা খাতুন এবং সন্তানদের নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে একই বাড়িতে বসবাস করে আসছেন। ফলে তার শশুড়ের নামীয় একটি জায়গা নিকতাত্মীয় জোরপূর্বক দখল করে রেখেছে। সুমী বাড়ির জায়গার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে সেনাবানীর নিকট অভিযোগ করেন। এসময় সেনাবাহিনী উপজেলা এসিল্যান্ডের সাথে যোগাযোগ করার জন্য পরামর্শ দেন। গত ২ সেপ্টেম্বর (সোমবার) উপজেলা এসিল্যান্ড কাগজপত্রের সতত্যা পেয়ে জায়গাটি উদ্ধার করে সুমী ও তার পরিবারকে ঘর নির্মাণ করে দেন। এতে বিয়ানীবাজার থানার এসআই আসাদুর রহমান সুমী ও পরিবারের উপর ক্ষুদ্ধ হয়ে প্রতিবেশী দেলোয়ার হোসেন দিলু ও আব্দুল মালিক মধুকে দিয়ে একটি ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের করেন। যার নং- ৫১/২০২৪। মামলাটি বর্তমানে এসআই আসাদুর রহমানের নিকট তদন্তাধীন রয়েছে। মামলার বিষয়ে জানতে গেলে এসআই আসাদুর রহমান সুমীর সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণসহ মামলাটি তাতের বিপক্ষে দেবেন বলে জানান। পরে সুমী বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সেনাবাহিনীর নিকট মৌখিকভাবে জানান। ৫ অক্টোবর (শনিবার) এসআই আসাদুর রহমানের যোগসাজসে দিলোয়ার হোসেন দিলু সহ অজ্ঞাত ৬জন মিলে সুমী ও তার পরিবারের উপর অতর্কিত হামলা করে। হামলায় দেবরের স্ত্রী মাজেদা খাতুন গুরুতর আহত হলে তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এসআই আসাদুর রহমানের যোগসাজসে নির্মাণ করা ঘরটি বেদখলে নেয় দিলোয়ার হোসেন দিলু। বর্তমানে শাহানা ও তার পরিবার এসআই আসাদুর রহমানের এহেন বিমাতাসূলভ আচরণের ফলে নিরাপত্তাহনীয়তায় ভোগছেন। এ ব্যাপারে প্রশাসনের উর্ধ্বতন মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন শাহানা আক্তার সুমী ও তার পরিবার।