সিলেট ও সুনামগঞ্জে বজ্রপাতে প্রাণ গেল ৭ জনের

স্টাফ রিপোর্টার: সিলেট ও সুনামগঞ্জে বজ্রপাতে ৭ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে সিলেটের তিনটি উপজেলায় তিন জন এবং সুনামগঞ্জে ৪ জন রয়েছেন। নিহতদের মধ্যে কৃষক দিনমজুর ছাড়াও কলেজ শিক্ষার্থী রয়েছেন। গতকাল রোববার সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।  সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রতিনিধিদের রিপোর্ট।

শাহপরান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনির হোসেন জানান, সকালে নিজ বাড়ির পাশে একটি পুকুরে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান মফিজ আলী। তিনি সিলেট সদর উপজেলার খাদিমপাড়া ইউনিয়নের কাটিমারা গ্রামের বাসিন্দা। গতকাল রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) উজায়ের আল মাহমুদ আদনান জানান, সকালে উপজেলার পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নের মধ্য রাজনগর গ্রামের কনু মিয়ার ছেলে মাসুক মিয়া নিহত হন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রুবেল মিয়া জানান, বজ্রপাতে রেদওয়ান আহমদ (১৯) নামের এক কলেজ ছাত্র নিহত হয়েছেন। তিনি উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের সাড়ইল গ্রামের ওলিউর রহমানের ছেলে ও সিলেট এমসি কলেজের বিএসএস ১ম বর্ষের ছাত্র। রেদওয়ান গতকাল রোববার ভোর পাঁচটার দিকে উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের সাড়ইল গ্রাম সংলগ্ন ডুবির হাওরে মাছ ধরতে গেলে বজ্রপাতে নিহত হন।

অপরদিকে, সুনামগঞ্জে বজ্রপাতে চারজন জেলের মৃত্যু হয়েছে। জেলার তিনটি উপজেলার পৃথক তিনটি হাওরে এসব ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে হাওরে মাছ ধরার সময় ছাতকে একজন, দোয়ারাবাজারে দুজন ও জামালগঞ্জে একজনের মৃত্যু হয়।

ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, জেলার ছাতক উপজেলায় সুন্দর আলী (৫০) নামে এক জেলে নিহত হয়েছেন। তিনি ছাতক উপজেলার মল্লিকপুর গ্রামের খুরশেদ আলীর ছেলে। সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে উপজেলার বোয়া বিল হাওরে বজ্রপাতে তিনি নিহত হন।

দোয়ারাবাজার উপজেলার পান্ডারগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহিদ জানান, উপজেলার দেখার হাওরে সকাল ৭ টায় বৃষ্টির মধ্যে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই দুজন মারা যান। নিহতদের বাড়ি উপজেলার পান্ডারগাঁও ইউনিয়নের পলিরচর গ্রামে। নিহতরা হলেন- তিনহালি বাড়ির চাঁন মিয়ার ছোট ছেলে জলাল মিয়া (৩০) ও একই গ্রামের নোয়া গাঁইয়া বাড়ির নুরুল হকের ছেলে মো. জসিম উদ্দিন।

জামালগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স ম কামাল হোসেন জানান, শরীফ মিয়া (৩০) নামে একজন বজ্রপাতে নিহত হয়েছেন। তিনি উপজেলার সদর ইউনিয়নের কালাগুজা গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে। শনিবার রাতে শরীফ কালাগুজার নয়া হাওরে মাছ ধরতে যান। সকালে পরিবারের লোকজন জানতে পারেন তিনি বজ্রপাতে নিহত হয়েছেন। পরে পরিবারের লোকজন মরদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন।

সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকির হোসেন বজ্রপাতে চারজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, পরিবারের সদস্যদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।